করোনাকালে পুলিশ বাহিনীর অবদান নিয়ে লিখব ভাবনাটা ছিল আগেই। কারণ পুলিশ বাহিনী করোনাকালে অভিভাবকের চেয়েও দায়িত্বপূর্ণ কাজটি করেছে। করোনারোগীর নিজের আত্মীয় যে কাজটি করতে পিছুপা হয়েছে সেই কাজটি করে দিয়ে পুলিশ। আত্মীয়-স্বজন যেখানে জীবনের ঝুঁকি নেয় নি, মানবতা ও সামাজিকতা যেখানে মুখ থুবরে পরেছিল সেখানে পুলিশ বাহিনী ছিন্ন করেছে জীবনের মায়া। বিচ্ছিন্ন করেছে পরিবারের চাওয়া। বাঁচিয়েছে অনেক করোনারোগীর জীবন-স্বপ্ন। করোনায় আক্রান্ত হয়েছে অনেক পুলিশের জীবন। আর পৃথিবী ছেড়ে চলেও গেছেন অনেকে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ের মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানের হত্যা সেই প্রশংসিত দৃষ্টিভঙ্গিকে কেন যেন নিন্দিত রূপে পরিণত করল। গত ৩১ জুলাই পুলিশের গুলিতে নিহত হয় সাবেক মেজর সিনহা। পুলিশ বলছে অপরাধী সন্দেহে গুলি করা হয়েছে কিন্তু একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে উঠে এসেছে মাদকের বিরুদ্ধে কাজ করাই তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। তারপর থেকে ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। মেজর সিনহা হত্যা ট্যক অব দ্য কান্ট্রিতে পরিণত হয়। এই ঘটনা আমার থেকে দেশের জণগণকে যেন বেশিই বিষাদে পরিণত করেছে বলে আমার মনে হচ্ছে। তবে আমি পুলিশ বাহিনীকে নিয়ে হতাশ নয়। কারণ পুলিশতো মানুষ বটে কিছু নয়। আর মানুষের মধ্যেইতো ভাল-মন্দ থাকে বা আছে। শুধু পুলিশ নয় জগতের সকল পেশার মানুষের মধ্যেই ভাল-মন্দ আছে থাকবে। তাই একটি ভাল কাজ দেখে সকলকে আমি মূল্যায়িত করতে পারি না আবার একটি খারাপ কাজ দিয়ে সকলকে খারাপ বলব এই মতের আমি বিশ্বাসী নয়।
পুলিশ সদর দফতরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে ১৩ জুলাই পর্যন্ত ১২ হাজার ৭৮০ জন পুলিশ সদস্য করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে মারা গেছেন ৫০ জন। পরে এই তথ্যের সংখ্যাটা আরও বেড়েছে। মৃতদের মধ্যে কনস্টেবল থেকে শুরু করে এসপি পদমর্যাদার পুলিশ সদস্য রয়েছেন। এছাড়া কোয়ারেন্টিনে ১৩ হাজার ৮০৪ জন এবং আইসোলোশনে ছিলেন ৫ হাজার ২ জন পুলিশ সদস্য। এদের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৯ হাজার ১৯০ জন। যাদের বেশিরভাগই কাজে ফিরে গেছেন। করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকা মহানগর পুলিশের সদস্য রয়েছেন ২ হাজার ৪৪৪ জন। জীবনবাজি রেখে দেশের ও দেশের মানুষের জন্য এমন দায়িত্ব নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। বিশ্বময় মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস সংক্রমণের শুরু থেকে জনগণের পাশে ছিলেন বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যরা। জনগণকে নিরাপদ রাখতে সম্ভাব্য সবকিছু করেই ফ্রন্ট-ফাইটার বা সম্মুখযোদ্ধা খেতাব পেয়েছেন পুলিশের অকুতোভয় সদস্যরা। প্রতিবেদনে দেখেছি গাজীপুর মহানগরীর সাইনবোর্ড এলাকায় দিবাগত রাত ২টার দিকে এক পথচারীর মৃত্যুর পর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত সন্দেহে কেউ এগিয়ে আসেনি। পরে সেখানে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্য রুবেল মিয়া এগিয়ে আসেন। শুধু তাই নয়, তিনি নিজে ভ্যান চালিয়ে নিহতের লাশ থানায় নিয়ে যান। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশ আজ করোনার আক্রমণে বিপর্যস্থ ও বিধ্বস্থ। অজানা, অদেখা, কায়াহীন শত্রু করোনার আক্রমণ থেকে মানুষের জীবনের নিরাপত্তা বিধান করাই এখন রাষ্ট্রের এক নম্বর প্রধান কাজ। এ মুহূর্তে করোনার আক্রমণ থেকে বাঁচার একমাত্র মূলমন্ত্র সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং যথাসম্ভব ঘরে থাকা। নিশ্চিতকল্পে শুরু থেকে বাংলাদেশ পুলিশ যেভাবে মাঠে-ময়দানে কাজ করছে অন্য সময়ে সামাজিক অপরাধ দমন সংক্রান্ত বিষয়াদি নিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযোগের শেষ নেই। কিন্তু আজ জাতির এই কঠিন সংকটে পুলিশ সম্পূর্ণ ঘুরে দাঁড়িয়ে প্রত্যাশিত স্বমূর্তিতে যেভাবে ভূমিকা রাখছে তা এক কথায় অসাধারণ। জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা শুধু যে সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং মানুষকে ঘরে রাখা নিশ্চিতকল্পে কাজ করছে তাই নয়। সব রকম মানবিক সহায়তা নিয়ে তারা মানুষের দুয়ারে দুয়ারে হাজির হচ্ছে। ত্রাণসামগ্রী বিতরণ, অসুস্থ মানুষকে হাসপাতালে নেওয়া, কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা এমনকি মৃত ব্যক্তির লাশ দাফনও করছে পুলিশ। করোনা পরিস্থিতিতে পুলিশ বাহিনীর মানবিকতার বিষয়গুলো মানুষকে নতুন করে ভাবতে শিখিয়েছে। নতুন পথ দেখিয়েছে। নতুন এক পুলিশ বাহিনীকে চিনতে শুরু করেছে।
বিশেষ করে লকডাউন শুরুর দিন হতে পুলিশ বাহিনীর কর্মতৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মতো। এই দুঃসময়ে তারা মাস্ক, স্যানিটাইজার ও খাবারের প্যাকেট বিলি করেছেন এবং করে যাচ্ছে। রাতের আধাঁরে অনাহারীর মুখে খাবার তুলে দিচ্ছে। প্রসববেদনায় ছটফট করা নারীকে হাসপাতালে পৌঁছে দিচ্ছে। তাঁদের মধ্যেও যে মানবিকতা, উদারতা, মনুষ্যত্ববোধ আছে, তা করোনা দেখিয়ে দিয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে কুমিল্লায় পারভেজ মিয়া নামে হাইওয়ে পুলিশের এক কনস্টেবল সাহসিকতা ও মানবসেবায় এক অনন্য উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন। একটি যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডোবায় পড়ে গেলে পুলিশ কনস্টেবল পারভেজ মিয়া যাত্রীদের জীবনরক্ষায় ছুটে যান। পচা ও দুর্গন্ধযুক্ত ডোবার পানিতে যেখানে সাধারণত মানুষ নামতে চায় না সেখানে পচা ডোবায় কনস্টেবল পারভেজ জীবনের ঝুকি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। নিমজ্জিত বাসের ভেতর ঢুকে একাই পানির নিচ থেকে একে একে ২২ জন যাত্রীর জীবন বাঁচিয়েছেন। মানুষের জীবন বাঁচানোর এ দৃশ্য ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছিল। চারদিকে যখন খাবারের আর্তনাদ তখন মানুষের পাশে ভিন্ন এক উদ্যোগ নিয়ে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ দাঁড়িয়েছে। মানুষকে ঘরে রাখতে তারা পৌঁছে দিচ্ছে খাবার সামগ্রী। স্লোগান দিয়েছে, বাসায় থাকুন দোকানই যাবে আপনার কাছে। লকডাউনে যখন পরিবহন ব্যবস্থা বন্ধ তখন পুলিশ পৌঁছে দিচ্ছে ডাক্তার নার্সদের হাসপাতালে। বিদেশ ফেরত ব্যক্তিদের হোম কোয়ারান্টিনে থাকা নিশ্চিত করতে বাড়িতে বাড়িতে খাবার সামগ্রী পাঠিয়েছে। বিদেশিদের হোম কোয়ারান্টিনে রেখেছে কড়া নজরদারিতে। করোনায় মৃত ব্যক্তিদের দাফনে স্বজনরা এগিয়ে না এলেও পুলিশ ঠিকই এগিয়ে গেছে। এখন এ আস্থা সৃষ্টি হয়েছে করোনায় কেউ মারা গেলে আর কেউ না এলেও আমাদের পুলিশ এগিয়ে আসবে।
শুধু করোনাকালেই নয়, ২০১৬ সালের ১ জুলাই গুলশানের হোলি আর্টিজানে সশস্ত্র জঙ্গিদের হামলায় পুলিশের ভ’মিকা ছিল তাৎপর্যপূর্ণ। গুলশান ঘটনার আগে ২০১৩ সাল থেকে জঙ্গিরা দেশব্যাপী উদারমনা এবং ভিন্নধর্মাবলম্বীদের ওপর টার্গেট কিলিং চালিয়ে কয়েক ডজন নিরীহ মানুষকে হত্যা করে। সে সময়ে দেশি-বিদেশি কিছু পক্ষ ও গোষ্ঠী উদ্দেশ্যমূলকভাবে প্রচার করতে থাকে বাংলাদেশে আইএসের মতো ভয়ঙ্কর সব জঙ্গি গোষ্ঠীর উপস্থিতি রয়েছে। যা বাংলাদেশের একক প্রচেষ্টায় দমন করা সম্ভব নয়। সে ছিল আরেক মহাদুর্যোগের সময়। সেই দুর্যোগ মোকাবিলায়ও পুলিশ বাহিনী অসাধারণ ভূমিকা পালন করেছে। তাছাড়াও কোথাও সংঘর্ষ, মারামারি, দুর্ঘটনা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি, যা-ই ঘটুক, তা সামাল দিতে সবার আগে পুলিশ পৌঁছে যায়। এটা পুলিশের দায়িত্ব ও কর্তব্য। এ বাহিনীর হাজারো সদস্য ২৪ ঘন্টায় ১৬ থেকে ২০ ঘন্টা ডিউটি করে আমাদের নিরাপত্তার জন্যে। আমরা যখন রাতে ঘুমিয়ে পড়ি তখন তারা রাতের ঘুমকে বিসর্জন দিয়ে আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। সামান্য একটু রোদে কিংবা বৃষ্টিতে আমরা যখন নিরাপদ আশ্রয়স্থলে ছুটে যাই, তখন রোদ বৃষ্টি উপেক্ষা করে পুলিশ বাহিনী দায়িত্বপালন করে। দেশের জনগণের কথা বিবেচনা করে পরিবার-পরিজন রেখে শুধু দায়িত্ববোধের জায়গা থেকেই এ বাহিনীর সদস্যরা সেবা দিয়ে যাচ্ছে।
কথায় বলে যে ভাল কাজ করে তার দোষ বেশিই থাকে। যেহেতু পুলিশ দেশের মানুষের নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে তাই দোষের অনেক জায়গা আছে। কিছু পুলিশের নিষ্ঠুরতার কারণে জনমনে বরাবরই পুরো বাহিনী সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণার সৃষ্টি হয়। আমার দৃষ্টিতে দোষের জন্য দায়ী দুটি জায়গা। এক. ব্যক্তিগত দোষ অথ্যাৎ কোন পুলিশ দেশের চিন্তা না করে নিজের সম্পদ-সম্পত্তির চিন্তা করে দোষ করে। দুই. প্রাতিষ্ঠানিক দোষ অথ্যাৎ প্রতিষ্ঠান দোষীর দৃষ্টান্তমূলক বিচার না করে অন্যায় পথে প্ররোচনা করে।
পুলিশ প্রবিধান (পিআরবি-১৮৬১) অনুযায়ী, কোনো পুলিশ সদস্য অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়ালে তার বিরুদ্ধে দুই ধরনের বিভাগীয় শাস্তির (লঘু ও গুরু) বিধান আছে। গুরুদন্ডের আওতায় চাকরি থেকে বরখাস্থ পদাবনতি, পদোন্নতি স্থগিত, বেতন বৃদ্ধি স্থগিত ও বিভাগীয় মামলা হয়। মামলায় অপরাধ প্রমাণিত হলে বরখাস্থ করা হয়। গুরুদন্ডের বিরুদ্ধে আপিলের সুযোগ আছে। ছোট অনিয়ম বা অপরাধের জন্য দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার, অপারেশনাল ইউনিট থেকে পুলিশ লাইনস বা রেঞ্জে সংযুক্ত করে লঘুদন্ডের দেওয়ার বিধান আছে।
পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালে ১৪ হাজার ২৫৯ জন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতিসহ নানামুখী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগ আসে সদর দপ্তরে। এর মধ্যে লঘুদন্ডে দন্ডিত হয়েছেন ১৩ হাজার ৬৫৫ জন। গুরুদন্ড দেওয়া হয়েছে ৬০৪ জনকে। ৬৯ জনকে করা হয়েছে চাকরিচ্যুত। আর পাঁচজনকে পাঠানো হয়েছে বাধ্যতামূলক অবসরে। ২০১৭ সালে ১৬ হাজার ২৫৮ জন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এর মধ্যে ১৪ হাজার ৩৯৫ জনকে (কনস্টেবল থেকে এসআই পদবির) লঘুদন্ড, ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার ৩৫৭ জনকে গুরুদন্ড ও ২৯ জনকে লঘুদন্ড, সাতজনের বিরুদ্ধে সাময়িক বরখাস্থসহ বিভাগীয় শাস্তি এবং ২৫ জনকে চাকরিচ্যুত করা হয়। ২০১৭ সালের ১৩ নভেম্বর ‘আইজিপি কমপ্লেইন সেল’ চালু করে পুলিশ সদর দপ্তর, যেখানে এসএমএস (০১৭৬৯৬৯৩৫৩৫ ও ০১৭৬৯৬৯৩৫৩৬) এবং মেইলে (পড়সঢ়ষধরহ@ঢ়ড়ষরপব.মড়া.নফ) প্রতি মাসে প্রায় ৩০০ অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা। এসব অভিযোগের মধ্যে ঘুষ নেওয়া থেকে শুরু করে নানাভাবে হয়রানি, বিয়ের পর স্ত্রীকে ভরণ-পোষণ না দেওয়া ও যৌতুকের জন্য নির্যাতন, মামলা দায়েরের পর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নেওয়া, জমিজমাসংক্রান্ত এবং পুলিশ সদস্যের হুমকির মুখে জীবনের নিরাপত্তা চাওয়ার মতো বিষয় থাকে। পুলিশ সদর দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১০ থেকে ২০১৪ সাল এই ৫ বছরে কনস্টেবল থেকে এসআই পদে ৬৩ হাজার ৩৪৯ জনকে লঘুদন্ড, তিন হাজার ৫৯০ জনকে গুরুদন্ড, ৪৬১ জনকে বরখাস্থ বা চাকরিচ্যুত ও ১২৩ জনকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে।
দেশের নাগরিকদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই পুলিশ সম্পর্কে একটা বিরুপ ধারণা রয়েছে। অনেকে মনে করেন, পুলিশের কাছে সাহায্য চাওয়া মানে নিজের বিপদ নিজে টেনে আনা। সেজন্য মানুষ বাধ্য না হলে পুলিশের দ্বারস্থ হয় না। তাছাড়া উপরোক্ত অপরাধের পরিসংখ্যান উপেক্ষা করার উপায়ও নেই। কিন্তু পুলিশের বিরুদ্ধে মানুষের যে ক্ষোভ ও অনাস্থা ছিল, তা অনেকটাই করোনার কেটে গেছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে আস্থার সংকট দূর হবে। করোনা হয়তো চিরদিন থাকবে না। কিন্তু আমরা চাই করোনা-পরবর্তী সময়েও পুলিশ জনগণের যে আস্থা সৃষ্টি করেছে তা অটুট থাকবে। আর সেই অবস্থানটা অটুট রাখা সম্ভব ব্যক্তিগতভাবে প্রত্যেককে সৎ ও দায়িত্বশীল থাকা এবং কোন অপরাধে কেউ জড়িত হলে সঠিক, সুষ্ঠু ও কঠোরভাবে আইনের প্রয়োগ ঘটানো। মেজর সিনহা হত্যাকান্ডের বিচার হতে পারে কঠোর আইনের প্রয়োগের একটি উদাহরণ। এই হত্যার সুষ্ঠু বিচার হতে পারে পুলিশের প্রতি আস্থা রাখার একটি অনন্য উদাহরণ। ব্যক্তির দায়বদ্ধতা, প্রতিষ্ঠানের স্বচ্ছতা আর সরকারের কঠোর ব্যবস্থা পুলিশের প্রতি আস্থা অটুট রাখবে সেই প্রতিক্ষায় রইলাম।
লেখক: সাংবাদিক ও কলাম লেখক