নীলফামারীর ডোমারে পাঙ্গা চৌপথি আবদুল মজিদ আলীম মাদ্র্যাসায় চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারী তিনটি পদে অর্থের মাধ্যমে নিয়োগ বানিজ্যের প্রতিবাদ ও পুনরায় নিয়োগ পরিক্ষার দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার দুপুর ১২ টার দিকে ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসীর ব্যানারে ডোমার-ডিমলা সড়কের মাদ্র্যাসার সামনে ঘন্টাব্যাপি মানব বন্ধন শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন করে সহস্রাধীক মানুষ।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন নিয়োগ পরিক্ষায় অংশ নেয়া আবদুল আজিজ, লাভলী বেগম, নুর জামান, এলাকাবাসী তফিজার রহমান, ছাত্রলীগ নেতা আবদুল মতিন প্রমূখ। বক্তরা বলেন, অফিস সহকারী কাম হিসাব সহকারী, নিরাপত্তা কর্মী ও আয়া পদে গত ছয় নভেম্বর রংপুর জেলার তারাগঞ্জ ও/এ ফাজিল মাদ্র্যাসায় নিয়োগ পরিক্ষায় অর্থের বিনিময়ে তিন জনের নিয়োগ দেওয়া হয়। পরিক্ষা শেষে অধ্যক্ষ এ কে এম রিয়াজুল ইসলাম ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি পাঙ্গা মটুকপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীড়ের সভাপতি দুলাল হোসেনকে পরিক্ষার্থীরা অবরুদ্ধ করে নিয়োগের জন্য দেওয়া টাকা ফেরত চায়। টাকা ফেরত ও পুনরায় নিয়োগ পরিক্ষা প্রদানের আশ্বাস দিলে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
আয়া পদে চাকরী প্রত্যাশী লাভলি বেগমের স্বামী সাজেদুর রহমান মানিক বলেন, আমার স্ত্রীকে আয়া পদে নিয়োগের জন্য সভাপতি দুলাল হোসেন আট লক্ষ টাকা নেয়। চাকরী না হলে টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য দুলাল হোসেন আট লক্ষ টাকার তার সই করা চেক দেন আমাকে।
তিনটি পদে নিয়োগের জন্য অধ্যক্ষ ও সভাপতি ১২ জনের কাছে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা ঘুষ নেয় বলে তারা দাবী করেন। বক্তরা অর্থ বানিজ্যের মাধ্যমে দেওয়া নিয়োগটি বাতিল করে পুনরায় নিয়োগ পরিক্ষার দাবী জানান তারা।
এ বিষয়ে মাদ্র্যাসার অধ্যক্ষ এ কে এম রিয়াজুল ইসলাম বিভিন্নভাবে যোগাযোগ করেও তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয় নাই। (০১৭৪৩৯৩৩০০২)
ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি দুলাল হোসেন জানান, তারাগজ্ঞে নিয়োগ পরিক্ষা শেষে অধ্যক্ষকে পরিক্ষার্থীরা অবরুদ্ধ করে রাখে। তিনি আগামী মঙ্গলবার টাকা ফেরত দিতে চাইলে অবরুদ্ধকারীরা অধ্যক্ষকে ছেড়ে দেয়। চাকরী প্রার্থীর স্বামী মানিককে আট লক্ষ টাকার চেক দেওয়া বিষয়ে তিনি বলেন, আমার কয়েকটি চেক হারিয়ে গেছে। আমি থানায় জিডি করবো এ বিষয়ে।
প্রসঙ্গত, তিনটি পদে ২৮ জন পরিক্ষর্থী আবেদন করে, ১৮ জন পরিক্ষার্থী অংশ নেয়।