ভেজাবালু পরিবহন, অতিরিক্ত বোঝাই, ত্রিপাল বিহীন বালু পরিহন,অবৈধ লড়ি-ট্রাক্টর পরিবহনের কাজে ব্যবহারসহ আরো কিছু বিষয়ে প্রশাসনিক নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তা মানছেনা সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তিরা।
বুধবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ইজারাকৃত বালু মহাল থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার ট্রাক,অবৈধ লড়ি-ট্রাক্টর, ড্রামট্রাক,মিনি ড্রামট্রাকযোগে ভেজাবালু নিয়ে পৌরশহরের ভিতর দিয়ে চলাচল করায় শহরের গুরুত্বপুর্ন রাস্তা গুলোর সব অংশেই খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। পথচারী ও ছোট যানবাহন চলাচলে রয়েছে মারাত্মক হুমকী। শহরের রাস্তা খারাপ হয়ে যাওয়ায় এ মৌশুমেও পর্যটকগন মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন অত্রএলাকা থেকে। এ যেন একটা অ-নিয়ম এখন নিয়মে পরিনত হয়েছে। দিনভর যান চলাচলের জন্য শত শত ট্রাক রাস্তার উপর দাঁড়িয়ে থাকায় প্রায়ই রোগী বহনকারী এ্যাম্বুল্যান্স যানজটের কবলে পড়ে রুগী নিয়ে ফেরত আসতেও দেখা গেছে। স্থানীয় প্রেসক্লাব মোড়, উকিলপাড়া, উপজেলা রোড, হাসপাতাল রোড, কালীবাড়ী মোড় ও তেরীবাজার সড়কের প্রায় ব্যস্ততম ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বেচা-কেনা কমেগেছে। শহরের রাস্তা গুলো কাঁদায় পরিনত হওয়ায় শিক্ষার্থী, সরকারী চাকুরীজীবি ও পথচারীগন পোহাচ্ছে নানা দুর্ভোগ। বালু পরিবহনের কোন বাইপাস রাস্তা না থাকায় শত শত ভেজা বালুবাহী গাড়ী চলাচলে ঘন্টার পর ঘন্টা জ্যাম লেগে থাকে শহরে। স্থানীয় অসংখ ব্যাক্তিরা বলছেন শত অভিযোগ দেওয়ার পরেও মাথা ব্যাথা নেই স্থানীয় ও জেলা প্রশাসনের কারণ ওনারা চলাচল করেন পাঁজেরোতে, রাস্তা সংস্কারের কাজও করছে না ইজারাদাররা। তা জানতে চায় অভিভাবকসহ এলাকার সাধারণ মানুষ। দুর্গাপুর পৌর শহর রক্ষার্থে অপরিকল্পিত বালু উত্তোলন ও ভেজাবালু পরিবহন বন্ধসহ উপজেলা প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা নিবেন এমনটাই প্রত্যাশা করছেন ভূক্তভোগীরা।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা খানম বলেন, ভেজাবালু পরিবহন সম্পুর্ন বে-আইনী। উপজেলা প্রশাসন থেকে বহুবার নিষেধ করা সত্বেও কেউ তা আমলে নিচ্ছেনা। পৌরশহর দিয়ে প্রতিনিয়ত ভেজাবালু পরিবহন করায় চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে শহরের রাস্তা গুলো নতুন নির্মিত রাস্তাটিও স্থায়িত্ব কমেযাচ্ছে। অচিরেই মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে এর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।