ঘন কুয়াশার কারণে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া এবং মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌরুটে রোববার রাত ১২টা থেকে সোমবার সকাল ১০টা পর্যন্ত ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল। এতে উভয় ঘাটে কয়েক কিলোমিটার যানজট সৃষ্টি হয়। দুর্ভোগের কবলে পড়েন অসংখ্য মানুষ।
সোমবার সকালে দীর্ঘক্ষন দৌলতদিয়ায় অপেক্ষা করে দেখা যায়, ফেরিঘাট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের তিন কিলোমিটার ছাড়িয়ে গাড়ির লম্বা লাইন। লাইনে আগের দিন দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা নৈশ কোচ নদী পাড়ের অপেক্ষা করছে। ১১-১২ ঘন্টা করে ফেরি ঘাটে অপেক্ষা করছে।
খুলনা থেকে আসা মাছের গাড়ি চালক আসিফ বলেন, প্রতিদিন ভোরে সিলেটে বাজারে মাছ বিক্রি হয়। বেলা সাড়ে ১০টা বাজলেও এখন পর্যন্ত ফেরিতে উঠতে পারিনি। যে কারণে এসব মাছ এখন নষ্ট হয়ে যাবে। আমাদের এরকম আরো চারটি মাছের গাড়ি রয়েছে। যারা প্রত্যেকে সিলেটে গিয়ে ভোরে মাছের বাজার ধরি। ফেরি বন্ধ থাকায় রাতভর ঘাটে থাকায় সব মাছ নষ্ট হচ্ছে।
যশোর থেকে আসা ঢাকাগামী পরিবহন চালক মোবারক হোসেন বলেন, রোববার রাত ১১টার দিকে দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটের কাছে সিরিয়ালে আটকা পড়ি। কিছুক্ষণ পর জানতে পারেন ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। কি আর করার সারারাত ঘাটেই যাত্রীদের নিয়ে বসে থাকেন।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়ার ব্যবস্থাপক আবু আব্দুল্লাহ বলেন, রোববার দিনগত রাতে কুয়াশা পড়তে থাকে। রাত বাড়ার সাথে সাথে কুয়াশার ঘনত্ব বাড়তে থাকলে দুর্ঘটনা এড়াতে ১২টার দিকে ফেরি বন্ধ করা হয়। ১০ ঘন্টা পর সোমবার সকাল ১০টার দিকে কুয়াশা কমলে ফেরি চলাচল শুরু হয়। দীর্ঘ সময় ফেরি বন্ধের কারণে দৌলতদিয়ায় তিন শতাধিক নৈশকোচ ও কয়েকশ পন্যবাহি গাড়ি পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে।