বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান বলেছেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। জনগণ তাদের ভোটের মাধ্যমে পছন্দ অনুযায়ী জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করবে আমরা সেটাই চাই।
ফরিদপুর পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী নায়াব ইউসুফের সমর্থনে সোমবার বিকেলে শহরের কমলাপুরের ময়েজ মঞ্জিলে অনুষ্ঠিত এক জনসমাবেশে আমান উল্লাহ আমান একথা বলেন।
তিনি বলেন, ফরিদপুর পৌরসভার মেয়র কে হবে সেটা নির্বাচন করবে এখানকার জনগণ। প্রশাসন একটি সুষ্ঠ সুন্দর নির্বাচন উপহার দেবে এটাই এখনো আশা করছি।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবীর খোকন, কেন্দ্রীয় যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন আহমেদ টুকু, ঢাকা দক্ষিণের সাবেক মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি জহুরুল হক শাহজাদা মিয়া, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ঢাকা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুল, ফরিদপুর বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম, কেন্দ্রীয় যুবদলের ফরিদপুর বিভাগীয় সহ-সভাপতি মাহবুবুল হাসান পিংকু, মহিলা দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ন সম্পাদক ও ফরিদপুর পৌরসভার বিএনপি দলীয় মেয়র প্রার্থী চৌধুরী নায়াব ইউসুফ, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মোদাররেস আলী ঈছা প্রমুখ।
বক্তাগণ বলেন, ফরিদপুর পৌরসভায় যদি সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয় তবে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী বিপুল ভোটে বিজয়ী হবে। কিন্তু একটি মহল নির্বাচনের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নষ্ট করতে চাইছে। তারা রাতের আঁধারে বিএনপি প্রার্থীর নির্বাচনী অফিস ভাংচুর করেছে। বিএনপি নেতাদের বাড়িতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। জনগণের ভোটার্ধিকার নিশ্চিত করার স্বার্থে এসব প্রতিহিংসামুলক আচরণ পরিহার করতে হবে।
বক্তারা হুসিয়ার করে দিয়ে বলেন, অবৈধ উপায়ে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করার পরিণাম হবে দেশে ভয়াবহ।
এর আগে আমানউল্লাহ আমানসহ ও বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ শহরের বিভন্ন স্থানে ধানের শীষের পক্ষে জনসংযোগ করেন। তারা সাধারণ ভোটারদেরকে বিএনপি প্রার্থীর ধানের শীষে ভোট দেয়ার আহ্বান জানান।