সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে সরকারি নীতিমালা উপেক্ষা করে বিভিন্ন এলাকায় ব্যাঙের ছাতার মতো অবৈধ করাতকল গড়ে উঠেছে। বাগানের গাছ ও বনাঞ্চল ধ্বংস করে এসব করাতকলে প্রতিদিন মজুদ করা হচ্ছে শত শত ঘনফুট চেরাই কাঠ। এতে করে একদিকে যেমন আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুল প্রদর্শন হচ্ছে অপরদিকে প্রাকৃতিক পরিবেশও হুমকীর মুখে পরছে। তবে অবৈধ করাতকল বহাল তবিয়তে থাকার পিছনে বনবিভাগের অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা জড়িত আছে বলে স্থানীয়রা জানায়। সরকারের পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ ২০/০৫/২০১২ইং জারি করা বন আইনের সেকশন ৪১-এ প্রদত্ত বিধি ৩নং ধারা(১১০) উপ-ধারা স্পষ্ট বলা আছে, কোনো ব্যক্তি লাইসেন্স ব্যতীত কোন করাতকল স্থাপন ও পরিচালনা করতে পারবে না। কিন্তু সরকারের এই আইনকে অমান্য করে রায়গঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় অন্তত ৬২টি করাতকল গড়ে উঠেছে। এর মধ্যে বৈধ লাইসেন্স রয়েছে ২২টি, আর অবৈধভাবে লাইসেন্স ব্যতিত রয়েছে ৪০টি। এতে করে সরকার হারাচ্ছে মোটা অংকের রাজস্ব। তবে অনেকগুলি করাতকল লাইসেন্স পাওয়ার যোগ্য নয়। অধিকাংশ করাতকল জনগুরুপ্তপূর্ন সড়কের পাশে গড়ে উঠেছে। ফলে করাতকল মালিকগণ রাস্তাদখল করে গাছের গোলাই ফেলে রেখে যানজটের সৃষ্টি করছে। স্থানীয়রা বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করার পরও ঐসব অবৈধ করাতকল মালিকদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে না।