নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযোদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানানোর আহবানের মধ্য দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে মুক্ত দিবস পালিত হয়েছে। শুক্রবার সকালে উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হানিফ মুন্সির নেতৃত্বে উপজেলা পরিষদের উদ্যোগে স্থানীয় সম্মুখ সমর স্মৃতিস্তম্বে পুস্পস্তবক অর্পন করেন বীরমুক্তিযোদ্ধারা। পরে একটি বর্নাঢ্য র্যালী সমর স্মৃতিস্তম্ব থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে। র্যালী শেষে আশুগঞ্জ শ্রমকল্যান কেন্দ্রে মেষ হয়। এরপর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.আমিরুল কায়সারের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা কামজ্জোমান আনসারী,উপজেলা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হানিফ মুন্সি,আশুগঞ্জ থানারভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাবেদ মাহমুদ,উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভুমি)ফিরোজা পারভিন,উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লিমা সুলতানা,কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম,ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ওয়াসল সিদ্দকী,রুস্তম আলী, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডিপুটি কমান্ডার আবুল হাসেম আজাদ, যুদ্ধকালীন মুক্তিযদ্ধের কমান্ডার হাজী মোহাম্মদ শাহজাহান,মুক্তিযুদ্ধা মোহাম্মদ হেবজু মিয়া প্রমুখ।
১৯৭১ সালের ৯ ডিসেম্বর থেকে পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ শুরু হয় এবং মুক্তিবাহিনীর শক্ত প্রতিরোধের মুখে ঐ দিন বিকাল থেকেই পাক বাহিনী পালিয়ে যেতে শুরু করে। পাক বাহিনী আশুগঞ্জ থেকে পালিয়ে ভৈরব যাওয়ার সময় মেঘনা নদীর উপর নির্মিত রেল সেতুর একাংশ ডিনামাইট দিয়ে উড়িয়ে দেয়। এতে সেতুর ২টি স্প্যান ভেঙ্গে নদীতে পড়ে যায়। ১১ ডিসেম্বর বিকালে আশুগঞ্জ উপজেলা সম্পূর্ণ শত্রু মুক্ত হয়।