সারা দেশ যখন বিজয়ের আনন্দে উদ্বেলিত ও আত্মহারা, সে সময়েও গোপালগঞ্জের ভাটিয়াপাড়ায় পাক হানাদাররা যুদ্ধ করে যাচ্ছিল। ১৯শে ডিসেম্বর গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীর ভাটিয়াপাড়া শত্রুমুক্ত দিবস। এই দিন পাকবাহিনীর দখলে থাকা কাশিয়ানী উপজেলার ভাটিয়াপাড়া ওয়্যারলেস ষ্টেশনের মিনি ক্যান্টনমেন্টের পতন ঘটে। এই পতনের মধ্য দিয়ে হানাদার মুক্ত হয় পুরো গোপালগঞ্জ অঞ্চল।
১৯শ ডিসেম্বর খুব ভোরে নড়াইল জেলার দিক থেকে ৮নং সেক্টরের কমান্ডার মেজর মঞ্জুর, নড়াইল জোনের মুক্তিবাহিনীর কমান্ডার ক্যাপ্টেন হুদা, লেঃ কর্নেল জোয়ান, কামাল সিদ্দিকী, গোপালগঞ্জ ও ফরিদপুরের দিক থেকে ক্যাপ্টেন ইসমত কাদির গামা ও ক্যাপ্টেন বাবুলের নেতৃত্বে মুক্তিবাহিনীর কমান্ডারগণ সম্মিলিতভাবে ভাটিয়াপাড়ার মিনি ক্যান্টনমেন্টে আক্রমণ চালায়।
কাশিয়ানী উপজেলা ইউনিট কমান্ড-এর কমান্ডার এনায়েত হোসেন জানান, মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বাত্মক এ হামলা ও বীরোচিত সাহসী যুদ্ধে অবশেষে দুপুরের দিকে মুক্তি ও মিত্র বাহিনীর যৌথ কমান্ডারের কাছে ৬৫ জন পাক সেনা ও শতাধিক রাজাকার আত্মসমর্পণ করে। দেশ স্বাধীনের তিন দিন পর হানাদার মুক্ত হয় কাশিয়ানীর ভাটিয়াপাড়াসহ সমগ্র গোপালগঞ্জ অঞ্চল।