ওয়ার্ডের অলিগলি ছেয়ে গেছে প্রার্থীদের পোস্টারে। বেলা দুইটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত চলছে বিরামহীন মাইকিং। সমানে চলছে প্রার্থীদের গণসংযোগ। ৩০ ডিসেম্বর পৌরসভা নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দের পর প্রচারণায় সরগরম হয়ে উঠেছে রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানী পৌরসভায়। চায়ের কাপে ঝড় তুলছেন ভোটাররা। করছেন নানা হিসাব-নিকাশ। আগামী ১৬ জানুয়ারী ইভিএমের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
প্রতীক বরাদ্দের পরপরই নির্বাচনের প্রার্থীরা মাঠে নেমে পড়েছেন। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মেয়র, সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থীরা বিরামহীনভাবে চালাচ্ছে গণসংযোগ। ভোটাররাও উপভোগ করছেন নির্বাচনী আমেজ।
ভোটাররা বলেন, নির্বাচনে এমন প্রার্থীকে ভোট দেব, যিনি এলাকার স্থিতিশীল পরিবেশ রক্ষায় ভূমিকা রাখতে পারবেন। ভোটাররা শান্তিতে ঘরে বসবাস করার নিশ্চয়তা চাই। প্রার্থীরা নির্বাচনের আগে যে প্রতিশ্রুতি দেন, নির্বাচনের পর সেই প্রতিশ্রুতি ভুলে যান। তাঁরা নিজের স্বার্থ রক্ষায় সাম্প্রদায়িক উসকানিদাতাদের সঙ্গে হাত মেলাতেও কুণ্ঠাবোধ করেন না। ফলে তাদের ভোট দেবেন না ভোটাররা।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ও আড়ানী পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি শহীদুজ্জামান শাহীদ বলেন, ভোট গ্রহনের তারিখ এগিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে নির্বাচনী প্রচারণা তুঙ্গে হয়ে উঠেছে। রাত-দিন কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে ভোট চেয়ে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ঘুরে বেড়াচ্ছি। আমার সমর্থিতদের মধ্যে কেউ নিজের, কেউ দলীয় কিংবা পারিবারিক সুনাম কাজে লাগিয়ে ভোটারদের মন জয় করার চেষ্টা করছি। ক্ষেত্রবিশেষে আমি সরকারি দলীয় নেতা হিসেবে উন্নয়নমূলক কর্মকা- করেছি, সেগুলো ভোটারদের মনে করে দিচ্ছে। আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন সফলতার চিত্র তুলে ধরে ভোটারদের বাড়ি বাড়ি যাচ্ছি। দলীয় প্রার্থী হিসেবে বিজয় হবেন বলে আশা করছেন তিনি। এ ছাড়া সব জায়গায় যাওয়ার চেষ্টা করছি। ভোটারদের সাড়া পাচ্ছি। জয়ের ব্যাপারে আমি শতভাগ আশাবাদী।
এদিকে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী তোজাম্মেল হক, আওয়ামলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও বর্তমান মেয়র মুক্তার আলী এবং আড়ানী পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি রিবন আহম্মেদ বাপ্পি নির্বাচনে বিজয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।
বাঘা উপজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিন রেজা জানান, দ্বিতীয় ধাপের চলমান আড়ানী পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪ জন। সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী ২৯ জন ও সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ড কাউন্সিল প্রার্থী ১০ জন। এই পৌরসভায় আগামী ১৬ জানুয়ারী ৯টি ওয়ার্ডে ইভিএমের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। পৌরসভায় মোট ভোটার সংখ্যা ১৩ হাজার ৮৮৪। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ হাজার ৮৭৮ ও নারী ভোটার ৭ হাজার ১০৬।