বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার ভাটরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান মোরশেদুল বারীসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করা হয়েছে। ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য বেলাল হোসেনের ছেলে তহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে গত শনিবার (২ ডিসেম্বর) রাতে এ মামলা করেন।
রোববার দুপুরে নন্দীগ্রাম থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি) কামরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, নন্দীগ্রাম কুমিড়া পন্ডিতপুকুর উচ্চবিদ্যালয়ের এডহক কমিটি নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা দুই ভাইয়ের মধ্যে বিরোধ তুঙ্গে উঠেছে। ভাটরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোরশেদুল বারী এবং আওয়ামী লীগ নেতা মজনুর রহমান মজনু সহোদর। মজনু কুমিরা পন্ডিতপুকুর উচ্চবিদ্যালয়ের এডহক কমিটির সভাপতি। শনিবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে বিদ্যালয় এডহক কমিটির সভাপতি মজনুর রহমান মজনু শিক্ষার্থীদের মাঝে বই বিতরণের আয়োজন করেন। এ সময় তার আরেক ভাই ভাটরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান মোরশেদুল বারীসহ তার লোকজন এসে বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মাধ্যমে বই বিতরণের দাবি করেন। এ নিয়ে দু’পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের রুপ নেয়। এতে সাবেক দুই ইউপি সদস্যসহ তিনজন আহত হয়। একপর্যায়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়।
এই ঘটনায় আহত সাবেক ইউপি সদস্য বেলাল হোসেনের ছেলে তহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান ও আ.লীগ নেতা মোরশেদুল বারীসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন।
দলীয় নেতাকর্মী ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নন্দীগ্রাম উপজেলার ভাটরা ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোরশেদুল বারী এবং তাঁর ভাই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য মজনুর রহমান দু’জনই আগামী মার্চ-এপ্রিল মাসে অনুষ্ঠেয় ইউপি নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী। এ নিয়ে দুজনই এলাকায় আগাম গণসংযোগ ও নেতাকর্মীদের সংগঠিত করছেন। ইউপি নির্বাচনে মনোনয়ন চাওয়া নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে এখন বিরোধ তুঙ্গে। এরমধ্যে মজনুর রহমান কুমিড়া পন্ডিতপুকুর উচ্চ বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে পরিচালনা কমিটির সভাপতি পদে রয়েছেন। মোরশেদুল তাঁকে সরিয়ে তাঁর (মোর্শেদুলের) সমর্থককে সভাপতি করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু মজনুরকে সভাপতি করে এডহক কমিটির মনোনয়ন দিয়েছে রাজশ্হাী শিক্ষাবোর্ড। এদিকে নিরাপত্তা চেয়ে প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম নন্দীগ্রাম থানায় সাধারণ ডায়েরী করেছেন।
এ বিষয়ে নন্দীগ্রাম থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি) কামরুল ইসলাম বলেন, ভাটরা ইউপি চেয়ারম্যানসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। আসামীদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশ মাঠে কাজ করছে।