রাজশাহীর বাগমারার ভবানীগঞ্জ পৌরসভার নির্বাচনে বিএনপির সমর্থিত প্রার্থীর পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন ছিঁড়ে পুড়িয়ে ফেলা ও প্রাণনাশের হুমকীর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেন বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের মেয়র প্রার্থী আবদুর রাজ্জাক। শনিবার বিকেলে বাগমারা প্রেসক্লাব কার্যালয়ে বিএনপির সমর্থিত প্রার্থী আবদুর রাজ্জাক প্রামানিক উপস্থিত হয়ে বিভিন্ন অভিযোগ এনে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন।
তিনি সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলেন, কিছু বহিরাগত ব্যক্তিরা পৌর নির্বাচনী এলাকায় বিভিন্ন ওয়ার্ডে নির্বাচনী প্রচারণার সময় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নৌকার প্রতীকের কর্মীরা সংঘবদ্ধ হয়ে ধানের শীষ প্রতীকের কর্মীদের মারপিট, ভয়ভীতি ও বিভিন্ন মামলা মোকদ্দমায় ফেলাসহ প্রাণনাশের হুমকী দিচ্ছে। তিনি আরও বলেন, গত শুক্রবার রাতে পৌর এলাকার সবগুলো ওয়ার্ডে সন্ত্রাসী তা-ব চালিয়ে বিভিন্ন স্থানে ঝোলানো সবগুলো পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলে সেগুলোতে আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। সেই সাথে বিএনপির প্রতিটি নির্বাচনী অফিস ভাংচুর করেছে।
এছাড়াও ধানের শীষের ভোটারদের কেন্দ্রে না যাওয়ার জন্য হুমকী ও ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়। এই কারণে ভোটারেরা আতঙ্কের মধ্যে থাকার পাশাপাশি সুষ্ঠু ভোট নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন। এই পরিবেশে সুষ্ঠু ভোট হওয়া নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন বিএনপির প্রার্থী আবদুর রাজ্জাক প্রাং। তিনি আগামী ১৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠিয় নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার দাবি জানান।
সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মহসিন আলী, সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ডি.এম. জিয়াউর রহমান জিয়া, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব সামসুজ্জোহা সরকার বাদশা, সোনাডাঙ্গার সাবেক চেয়ারম্যান এ্যাড. মোজাফ্ফর হোসেন, গনিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান রঞ্জু, বড়-বিহানালীর চেয়ারম্যান মাহমুদুর রহমান মিলন, বিএনপি নেতা ইউসুফ আলী, মেজবাহুল হক দুলু, সামসুর রহমান, মাড়িয়া ইউনিয়নের সভাপতি হুজুর আলী, ভবানীগঞ্জ পৌর বিএনপির সদস্য সচিব এস.এম মোজাম্মেল হক, পৌর যুবদলের আহ্বায়ক শাহিনুল ইসলাম, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি রেজাউল করিম টুটুল, আতিকুর রহমান জজ, সহ-সভাপতি লতিফুর রহমান সাগর, যুগ্ম সাধরণ সম্পাদক আরফিন কনক, জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মাসুদুর রহমান লিটন, পৌর যুবদলের নেতা জহুরুল ইসলাম, আহসান হাবিব, আলাউদ্দীন, মামুনুর রশিদ, আবদুল মালেক (মানিক) উপজেলা ছাত্রদল নেতা রেজাউল করিম, জামাল উদ্দীন, মহব্বত হোসেন, উজ্জ্বল হোসেন, রবিউল ইসলাম গনি, শফিকুল ইসলাম, মিলন, বাবু, কাওছার আলী প্রমুখ।
এদিকে নৌকার প্রতিকের নির্বাচনী সমন্বয়ক উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ গোলাম সারওয়ার আবুল আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন তারা নিজের পোস্টার ছিঁড়ে নৌকার উপর দায় চাপাচ্ছেন। বিএনপির কর্মী-সমর্থকরাই পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডে নৌকার নির্বাচনী অফিস ভাংচুর সহ পোস্টার ছিঁড়ে ফেলেছে তারা। আমরা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি।