আগামী ১৬ জানুয়ারি ২য় ধাপে আসন্ন পৌর নির্বাচনকে ঘিরে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন আওয়ামীলীগ, বিএনপি, ইসলামি আন্দোলন ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা। তবে বিএনপি’র দুইজন প্রার্থী হওয়ায় আওয়ামী লীগের নৌকাকেই এগিয়ে রাখছে শেরপুর পৌরসভার সাধারণ ভোটাররা। তাই নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে শেষ মুহুর্তের প্রাচরণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন নেতারা।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, আগামী ১৬ জানুয়ারি ২য় ধাপে আসন্ন পৌর নির্বাচনকে ঘিরে বগুড়া শেরপুর পৌর শহরের বিভিন্ন বাড়িতে গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন প্রার্থী ও নেতা-কর্মীরা। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে প্রার্থী ও নেতা-কর্মীদের এই প্রচারণা। শহরের অলিগলির চায়ের দোকানগুলো এখন রাজনৈতিক আলাপে মুখরিত। চলছে নির্বাচনী মিটিং, মিছিল ও মাইকিং। পুরো শহর জুড়ে একটা থৈ থৈ অবস্থা বিরাজ করছে। ৯টি ওয়ার্ড মিলে এই পৌরসভায় মোট ভোটার সংখ্যা ২৩ হাজার ৭ শত ৫৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১১ হাজার ৪ শত ১৫ জন ও মহিলা ভোটার ১২ হাজার ৩ শত ৩৯ জন। শেরপুর পৌর সভায় এবার মেয়র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন ৪জন প্রার্থী। আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক মেয়র বীর মুক্তযোদ্ধা আলহাজ¦ মো. আবদুস সাত্তার, বিএনপি মনোনীত প্রার্থী সাবেক মেয়র স্বাধীন কুমার কু-ু, বিএনপি থেকে মনোনয়ন না দেয়া বিদ্রোহী প্রার্থী আলঞাজ¦ জানে আলম খোকা ও ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ এর প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন আলহাজ¦ এমরান কামাল খান। ৯টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন বিভিন্ন দলের ৩৬জন প্রার্থী। এ ছাড়া ৩টি সংরক্ষিত আসনে মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেছেন বিভিন্ন দলের ১০জন প্রার্থী।
৯টি ওয়ার্ড ঘুরে সাধারণ ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা যায়, দিনদিন নৌকার জোয়ার বাড়ছে। বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী থাকায় নৌকার এমন জোয়ার। কারণ হিসেবে তারা বলেন, বিএনপির যে দুইজন আলাদাভাবে নির্বাচন করছে তারা দুইজনই প্রভাবশালী নেতা। তাই বিএনপির ভোটগুলো দুই ভাগে বিভক্ত হয়েছে যাবে। আর নৌকা মার্কা একাই মাঠ দাপিয়ে বেড়াবে। তাই নৌকার বিজয়ের সম্ভাবনা বেশী।
এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবীব আম্বিয়া ও যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান ভুট্টো বলেন, শেরপুর পৌরসভা নির্বাচনে ৪ জন মেয়র প্রার্থী থাকলেও মুলত আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দুই প্রার্থীর মধ্যে হবে প্রতিদ্বন্দীতা। বর্তমান মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ¦ আবদুস সাত্তার পৌরবাসীর ব্যবসা বানিজ্যের কথা চিন্তা করে প্রায় ১৫ কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মান করেছেন পাঁচতলা পৌর কিচেন মার্কেট। পানি নিস্কাশনের জন্য তৈরী করেছেন মাস্টার ড্রেন। তাই পৌরসভার যোগ্য মেয়র হিসেবে সাধারণ ভোটাররা নৌকা মার্কার বিজয় নিশ্চিত করবে বলে আশা করছি।
অন্যান্য মেয়র প্রার্থীর সাথে কথা বললে তারা জানান, আমরা নির্বাচিত হলে পৌরসভার রাস্তাঘাট, লাইটিং, পয়োনিস্কাশন, শুকুরের অবাধ বিচরণসহ সকল উন্নয়নমুলক কাজ করার চেষ্টা করব।