নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে যৌতুকের কারণে এক কলেজছাত্রী ও তার বাবা-মা অমানবিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এ ঘটনায় সোমবার নির্যাতিতা সুমি রায় তার স্বামীসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন নির্যাতিতার পরিবার। থানায় দায়ের করা অভিযোগে জানা যায়, জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের বড়ডুমরিয়া চাপুয়াপাড়া গ্রামের কেশর চন্দ্র রায়ের ছেলে কালিপদ রায় প্রতিবেশী সুধীর চন্দ্র রায়ের মেয়ে কিশোরদঞ্জ সরকারী কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী সুমি রায়কে প্রেমের ফাঁদে ফেলে চার মাস পুর্বে বিয়ে করেন। প্রেমের এ বিয়ের কয়েকদিন পরে কনের বাবা দেন দরবারের মাধ্যেমে বাস্তুভিটা বিক্রি করে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা যৌতুক দিলেও চাহিদা মেটেনি বর, তার বাবা কেশর চন্দ্র ও মা সুমতি রানীর। তাদের দাবীকৃত আরো ২ লাখ টাকা যৌতুক দিতে হবে তাদের। এ নিয়ে চলছিল উভয় পরিবারের মাঝে নানা অশান্তি। একপর্যায়ে গত শুক্রবার বিকেলে ওই কলেজছাত্রী শ্বশুর বাড়িতে যাওয়ায় তার স্বামীসহ পরিবারের লোকজন তাকে অমানবিক নির্যাতন করেন। খবর পেয়ে মেয়ের বাবা সুধীর চন্দ্র ও মা গীতা রাণী জামাতার বাড়িতে গেলে একপর্যায়ে তাদেরকেও বেদম মারধর ও কুপিয়ে জখম করেন। পরে স্থানীয়রা সুমি রায় ও তার বাবা-মাকে গুরুত্বর আহতবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে দেয়। এ ব্যাপারে কিশোরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত র্ককর্তা আবদুল আউয়াল অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।