কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ফারইস্ট লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি বীমার মেয়াদোত্তীর্ণ হলেও জমাকৃত টাকা ফেরত না পাওয়ায় গ্রাহকদের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। চিলমারী অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় কোম্পানীটির প্রায় ১৫ হাজার গ্রাহক বিভিন্ন মেয়াদে বীমা করেছেন। ইতোমধ্যে ২ হাজার গ্রাহকের মেয়াদোত্তীর্ণ বীমা পরিশোধের আবেদন জমা পড়েছে। কোম্পানীর শর্তানুযায়ী বীমার মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরপরই গ্রাহকদের বীমা পরিশোধ করার কথা থাকলেও গত ২০১৮ ও ২০১৯ সালে শতশত গ্রাহকের বীমা মেয়াদোত্তীর্ণ হলেও বীমার টাকা পরিশোধ করেনি এ প্রতিষ্ঠানটি। ফলে উপজেলার গ্রাহকদের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। গ্রাহক খায়রুল ইসলাম (পরিচিতি নম্বর ৭৬০০০০৪৯৯২) ১২ বছর মেয়াদে বীমা করেন গত ২০১৮ সালে তার বীমা মেয়াদোত্তীর্ণ হলেও তিনি অদ্যাবধি বীমার টাকা ফেরত পাননি। বীমা গ্রাহক রঞ্জু মিয়া, পেয়ারা বেগম, আক্তার জাহান, শাহানাজ বেগম, রফিকুল ইসলাম, দিপালী রাণী, হাফিজুর মিয়া, আজম মিয়া, আমির উদ্দিন, অশোক চন্দ্র, স্বপনা বেগম, লুৎফর রহমান ও আবদুল গফ্ফারসহ এরকম শতশত গ্রাহক বীমার মেয়াদ শেষ হলেও টাকা ফেরত না পাওয়ায় গ্রাহকদের মাঝে চরম হতাশের সৃষ্টি হয়েছে। গ্রাহক দিপালী রাণী জানান, ১০ বছর মেয়াদে ৩হাজার ৩শ টাকা হারে মাসিক কিস্তি অনেক কষ্ট করে নিয়মিতভাবে পরিশোধ করেছেন কিন্তু ২০১৯ সালে মেয়াদ পুর্তী হলেও তিনি বীমা টাকা ফেরত পাননি। এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম সার্ভিসিং ইনচার্জ মোঃ আবদুল কাদের বীরের সাথে কথা হলে তিনি জানান, মেয়াদোত্তীর্ণ বীমাকারীদের টাকা ফেরত চেয়ে কোম্পানীর প্রধান কার্যালয়ে প্রস্তাব প্রেরন করা হয়েছে। কিন্তু কিছু কাগজপত্রের অসংগতি থাকার কারণে বিলম্ব হচ্ছে। চিলমারী অফিস ইনচার্জ, মোখলেছুর রহমান শালু জানান, করোনা’র কারণে ফান্ড প্রাপ্তীতে বিলম্ব হওয়ায় গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।