গেতাফেকে ২-০ গোলে পরাজিত করে লা লিগা টেবিলের শীর্ষে থাকা এ্যাথলেটিকো মাদ্রিদের সাথে পয়েন্টের ব্যবধান পাঁচে নামিয়ে এনেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদ। ঘরের মাঠ এস্তাদিও আলফ্রেডো ডি স্টিফানোতে মূল দলের নয়জন খেলোয়াড়কে ছাড়া প্রথম একাদশ সাজিয়েছিলেন কোচ জিনেদিন জিদান। নিজেদের স্বাভাবিক ধারার বাইরে গিয়ে ৩-৫-২ ফর্মেশনে খেলেও শেষ পর্যন্ত ঠিকই জয় ছিনিয়ে এনেছে জিদান শিষ্যরা। উইং ব্যাক হিসেবে মার্সেলোর সাথে খেলেছেন ২০ বছর বয়সী মারভিন পার্ক। করিম বেনজেমা ও ফারলান্ড মেন্ডির গোলে রিয়ালের জয় নিশ্চিত হয়। এই জয়ে মাদ্রিদ কিছুটা হলেও নগর প্রতিদন্দ্বী এ্যাথলেটিকোর উপর চাপ সৃষ্টি করলো, যদিও দিয়েগো সিমিওনের দল দুই ম্যাচ কম খেলেছে। ম্যাচ শেষে জিদান বলেছেন, ‘আমাদের অবশ্যই নিজেদেও উপর বিশ^াস রাখতে হবে, লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। লিগে এখনো অনেক ম্যাচ বাকি, আমাদের সামনে অনেক পরীক্ষা অপেক্ষা করছে।’ সেল্ট ভিগোর সাথে ২-২ গোলে ড্র করে মৌসুমের মাঝামাঝিতে এসে প্রথমবারের মত পয়েন্ট হারিয়েছে এ্যাথলেটিকো। আর তাদের এই ড্রয়ে নতুন করে শিরোপা স্বপ্ন জেগে উঠেছে রিয়াল ও বার্সেলোনার চোখে। যদিও এবারের লিগ শিরোপর সম্ভাবনাা এখনও এ্যাথলেটিকোর দিকেই বেশী ঝুঁকে আছে। নিজেদের দায়িত্বটুকু পালনের মাধ্যমে মাদ্রিদ ও বার্সেলোনা কেবলমাত্র এই লড়াইয়ে টিকে থাকার সম্ভাবনা তৈী করতে পারে। সাত ম্যাচে মাত্র দুই জয়ের পর গত সপ্তাহে জিদান গণমাধ্যমে অনেকটা ক্ষোভ নিয়ে বলেছিলেন বর্তমান চ্যাম্পিয়ন হিসেবে অবশ্যই শিরোপার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে হবে খেলোয়াড়দের। ইতোমধ্যেই এবারের মৌসুমে স্প্যানিশ সুপার লিগ ও কোপা ডেল রে হাতছাড়া হয়ে গেছে। কোচের এই ক্ষোভের প্রভাব পড়েছিল পুরো দলের উপর। শনিবার হুয়েস্কাকে হারানোর পর গেতাফেকে পরাস্ত করাটা সহজ হয়েছে। আর এতেই শিরোপা দৌড়ে কিছুদুর এগিয়ে গেছে জিদান শিষ্যরা। এই পরাজয়ে তলানির তিনটি দল থেকে চার পয়েন্ট উপরে উঠে ১৩তম স্থানে রয়েছে গেতাফে। জিদানের অনুপস্থিতির তালিকায় ছিলেন সার্জিও রামোস, এডেন হ্যাজার্ড, এডার মিলিটাও, আলভারো ওড্রিওজোলা, লুকাস ভাসকুয়েজ, ফেডে ভালভার্দে, ডানি কারভাহাল, টনি ক্রুস ও রড্রিগো। রক্ষনভাগে রাফায়েল ভারানে, নাচো ও মেন্ডির সাথে উইং-ব্যাকে ছিলেন মার্সেলো। বিস্ময়করভাবে মূল একাদশে সুযোগ পেয়েছিলেন পার্ক। ২০১৬ সালে মাদ্রিদের যুব দলে যোগ দেবার আগে তিনি ইংল্যান্ডে ছিলেন। নতুন ফর্মেশন সম্পর্কে জিদান বলেছেন, ‘আমরা এই ফর্মেশন নিয়ে খুব একটা বেশী অনুশীলনের সুযোগ পাইনি। কিন্তু প্রায়ই আমরা এটি নিয়ে আলোচনা করেছি। আলোচনা অনুযায়ী খেলোয়াড়রা যথাসাধ্য চেষ্টা করেছে।’ ম্যাচের শুরুতে কাসেমিরো ও বেনজাম দুজনেই দুটো সুযোগ নষ্ট করেছেন। এর মধ্যে বেনজেমার হেড ক্রসবারে লেগে ফেরত আসে। মার্সেলোর এসিস্টে পাওয়া পাস থেকে লুকা মড্রিচকেও হতাশ করেন গেতাফে গোলরক্ষক ডেভিড সোরিয়া। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে মার্ক কুকুরেলা একটি সহজ সুযোগ নষ্ট করলে এগিয়ে যাওয়া হয়নি গেতাফের। ৬০ মিনিটে শেষ পর্যন্ত ডেডলক ভাঙ্গেন বেনজেমা। ভিনসিয়াস জুনিয়রের নিখুঁত ক্রসে বেনজেমা রিয়ালকে এগিয়ে দিতে ভুল করেননি। ছয় মিনিট পর মার্সেলোর কাছ থেকে বল পেয়ে মেন্ডি ব্যবধান দ্বিগুন করার পাশাপাশি দলের জয় নিশ্চিত করেন।