কুড়িগ্রামের চিলমারীতে বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির রংপুর বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল খালেককে চিলমারী উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল বারী গং কর্তৃক লাঞ্চিত করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন চিলমারী উপজেলা বিএনপি’র একাংশ্। বুধবার দুপুর ১২ টায় উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আবু হানিফা’র উপজেলার ব্রাকমোড় এলাকায় তার বাস ভবনে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে সংবাদ সম্মেলনে তিনি লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।
এসময় তিনি বলেন, গত ২০ ফ্রেব্রুয়ারী শনিবার বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আবদুল খালেক চিলমারীতে পাম্পের মোড়ে এসে পৌঁছিলে আবদুল বারী সরকারের ইন্ধনে স্বেচ্ছাসেবক দলের বিপক্ষ একটি গ্রুপ পরিকল্পিতভাবে তার গাড়ীতে হামলা করে। আবদুল বারী গং নিজেরা একটি নাটক সাজিয়ে আমাদের গ্রুপের নেতা-কর্মীদের নামে দোষারোপ করে আমাদের ফাঁসানোর চেষ্টা করছেন। তিনি আরও বলেন কেন্দ্রীয় নেতার চিলমারী আগমন উপলক্ষে আমাদেরকে কোন প্রকার চিঠি বা মৌখিক ভাবেও বলা হয়নি। তাই আমরা কোন কর্মকা-ে অংশগ্রহণ করতে পারিনি। বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পেরে আবদুল খালেককে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানোর জন্য পাম্পের মোড়ে কতিপয় নেতাকর্মী অবস্থান নেয়।এই সুযোগে আমাদের নেতা-কর্মীদেরকে ফাঁসানোর জন্য গাড়ী বহরে হামলার ঘটনাটি ঘটান বারী গং। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। গাড়ী বহরে হামলার ঘটনায় দায়ী করা হয়, আবু হানিফা, সাদাকত হোসেন সাজু ,ফজলুল হক, আনোয়ারুল ইসলাম বাবলুকে। কিন্তু ঐ দিন আমরা কেউই সেখানে উপস্থিত ছিলাম না। তারা সম্পুর্ন মিথ্যা ও বানোয়াট নাটক করে আমাদেরকে ফাঁসানোর জন্য প্রতিবাদ সভা আয়োজন করে আমাদেরকে দলীয় ও ব্যক্তিগতভাবে সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় নেতার গাড়ীবহরে হামলার ঘটনায় আমরা নিজেরাও মর্মাহত হয়েছি তাই ওই ঘটনার সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করে জেলা ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের কাছে শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন চিলমারী উপজেলা বিএনপির যুগ্নসাধারণ সম্পাদক সাদাকাত হোসেন সাজু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ারুল ইসলাম বাবলু, যুব দলের সভাপতি আমজাদ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক লোকমান হোসেন চৌধুরী, বিএনপি নেতা আকরাম হোসেন, যুব নেতা রুহুল আমিন জিয়া প্রমুখ।