রাজশাহীর বাঘা উপজেলার পদ্মার চরে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এই সংঘর্ষে ৪ জন গুলিবিব্ধসহ ১০ জন আহত হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রে ভর্তি করা হয়। পরে তাদের অবস্থা বেগতিক দেখে দায়িত্বরত চিকিৎসক রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। রোববার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পদ্মার মধ্যে চৌমাদিয়া চরে এই ঘটনা ঘটেছে।
জানা যায়, উপজেলার পদ্মার চরের মধ্যে চকরাজাপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের চৌমাদিয়া চরের মজনু হোসেন দর্জি ও দিলা ইসলাম ব্যাপারি মধ্যে জমির আগাছা পরিস্কার করাকে কেন্দ্র করে বিরোধের সৃষ্টি হয়। এই বিরোধকে কেন্দ্র করে রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উভয়ের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। এর জের ধরে উভয় পক্ষ অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে একে অপরের উপর আক্রমণ করা হয়। এতে গুলি বিদ্ধ হয়েছেন চৌমাদিয়া চরের আদম আলীর ছেলে আবদুর রাজ্জাক (৩০), অলি ঢালীর ছেলে লিটন ঢালী (৩৫), সামসুল ইসলামের ছেলে দুলাল দর্জি (৩০), দিলু দর্জির স্ত্রী মরিয়ন বেগম (৩৫)।
এদিকে নুরুল ইসলামের ছেলে ইদ্রিস আলী (৪০), আলিম আলী দর্জির ছেলে ইয়ার আলী (৪৫), সেকেন্দার আলীর ছেলে ইব্রাহীম হোসেন, মজনু দর্জি লোহার রড়ে গুরুতর আহত হয়েছে।
এ সময় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রে গেলে দেথা যায়, মরিয়মের বান পায়ে, রাজ্জাকের বুকে, লিটন ঢালীর পেটে, দুলালের পিঠে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দেখা যায়।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রের দায়িত্বরত চিকিৎসক সোলাইমান হোসেন জানান, আহতদের মধ্যে ইদ্রিস আলী ছাড়া সবাইকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
স্থানীয় সোহেল রানা, সোলাইমান হোসেন, সুফিয়ান হোসেন জানান, মজনু হোসেন দর্জির কলা বাগানের সাথে দিলা ইসলাম ব্যাপারির জমি রয়েছে। সেই জমিতে আগাছা পরিস্কার করার জন্য দিলা ইসলাম ব্যাপারি আগুন দেয়। সেই আগুনে মজনু দর্জির কলা বাগানের ক্ষতি হয়। এই বিষয়টি দিলা ইসলাম ব্যাপারিকে জানাতে গেলে উল্টো মজনু দর্জিকে মারপিট করা হয়। এর জের ধরে উভয় পক্ষের মধ্যে বন্ধুক, লাঠি, হাসুয়া, লোহার রড় নিয়ে একে উপরের মধ্যে সংর্ঘষ হয়।
এ বিষয়ে বাঘা থানার ওসি নজরুল ইসলাম জানান, ঘটনাটি জানার সাথে সাথে পুলিশ পাঠিয়েছি। অতিরিক্ত পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে আছি। তবে এ বিষয়ে কোন লিখিত অভিযোগ পায়নি।