পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য বলেছেন ৭১’এর ৭ই মার্চ বীর বাঙ্গালীকে স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝপিয়ে পড়তে রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধু বাঙ্গালী জাতিকে উদ্বুদ্ধ করতে ভাষণে বলেছিলেন এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম। বঙ্গবন্ধুর এ ভাষণের পর বীর বাঙ্গালীর স্বাধীনতাকামী সন্তানেরা দেশকে স্বাধীন করতে যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ে ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে আজ আমরা স্বাধীন একটি ভূখ- পেতাম না। পেতাম না লাল সবুজের একটি জাতীয় পতাকা। রোববার বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী এবং মহান স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধুর ভাষণ দিবস উপলক্ষে মণিরামপুর আওয়ামী লীগের দলীয় কার্য্যালয়ে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র অধ্যক্ষ কাজী মাহমুদুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, উপজেলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন লাভলু, বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমা খানম, ভাইস চেয়ারম্যান ও যুবলীগের আহ্বায়ক উত্তম চক্রবর্তী বাচ্চু, ভোজগাতী ইউপি চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাক, আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট বশির আহমেদ খান, উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মুরাদুজ্জামান মুরাদ প্রমুখ। আলোচনা সভার সঞ্চলনা করেন ছাত্রলীগ নেতা ফজলুর রহমান। আলোচনা সভা শেষে হাসান সরোওয়ার- এর পরিচালনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান অতিথি স্বপন ভট্টাচার্য্য তাঁর বক্তব্যে আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ দেশকে উন্নয়নের শীর্ষে নিতে সক্ষম হয়েছেন। দেশে এক শ্রেণির রাজনীতিকদের এ উন্নয়ন সহ্য হচ্ছে না। তারা দেশে-বিদেশে বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে চলেছে। তবে যত ষড়ন্ত্রই করুক না-কেন তা প্রতিহত করতে প্রস্তুত শেখ হাসিনার সরকার।
প্রতিমন্ত্রী পরে মণিরামপুর পৌরসভার নতুন ভবনের ভিত্তি প্রস্থর উদ্বোধন করেন। ৪ কোটি ৫৭ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হবে এ ভবনটি। ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী বলেন, মণিরামপুরকে ঢেলে সাজানোর অংশ এটি। এ মাসেই আরও ১০টি নতুন ভবনের ভিত্তি প্রস্থর উদ্বোধন করা হবে। মণিরামপুরের রাস্তাঘাট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোথাও জরাজির্ণ থাকবে না। আগামী বর্ষা মৌসুমের আগেই পৌরবাসীর পয়নিষ্কানের জন্য ড্রেনেজ ব্যবস্থা করা হবে। মানুষ আর ঘর বিহিন থাকবে না। জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের স্বাদ প্রতিটা নাগরিক গ্রহন করবেন।
অপর দিকে, সকালে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্ত্বরে নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ জাকির হাসানের সভাপতিত্বে দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে। এ কর্মসূচীর মধ্যে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ, আলোচনা সভা, মোড়ক উম্মোচন, পুরস্কার বিতরণ, দোয়া মাহফিল ও সাংস্কৃতি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এছাড়াও উপজেলার স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হয়েছে।