রকারি নিয়মনীতি অমান্য করে ব্যাঙেরছাতার মতো ২৫টি প্যাথলজি গড়ে উঠেছে। বেশিরভাগ প্যাথলজিতে সরকারি কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে পাশকৃত অভিজ্ঞ কোনো টেকনোলজিস্ট নেই। প্যাথলজিগুলি থেকে ভুয়া পরীক্ষা-নীরিক্ষার রির্পোট দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, পুঠিয়ায় ৫০ শয্যা হাসপাতালটিকে কেন্দ্র করে উপজেলায় ২৫টি মতো প্যাথলজি গড়ে উঠেছে। হাসপাতাল এলাকা ছাড়াও বানেশ্বরহাট, ঝলমলিয়াহাট, ধোপাপাড়া বাজারসহ একাধিক এলাকায় হুট করে প্যাথলজি গড়ে উঠতে দেখা যাচ্ছে। সদরের কয়েকটি প্যাথলজির পরীক্ষা-নীরিক্ষার লাইসেন্স আছে বলে জানা গেছে। বেশিভাগ প্যাথলজি আবার দুইএকটি পরীক্ষা-নীরিক্ষার লাইসেন্স নিয়ে বস রোগের পরীক্ষা-নীরিক্ষা করতে দেখা যাচ্ছে। উপজেলায় ১৩টি ক্লিনিক রয়েছে। প্রতিটি ক্লিনিকের আবার আলাদা আলাদা প্যাথলজির শাখা খোলা রয়েছে। প্যাথলজিগুলিতে সরকারি কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে পাশকৃত কোনো টেকনোলজিস্ট দেখা যায় না। নতুন কোনো বেসরকারি প্রতিষ্টান হতে পাশকৃত ছেলেমেয়েদের টেকনোলজিস্ট হিসাবে নিয়োগ দেওয়া রয়েছে। পুঠিয়া হাসপাতালে কিংবা প্যাথলজিতে চিকিৎসকের নিকট রোগী আসলে,প্রথমেই অনেকগুলি পরীক্ষা-নীরিক্ষা করার কথা বলা হচ্ছে। কারণ,পরীক্ষা-নীরিক্ষা করা হলে,সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক প্যাথলজিগুলির নিকট হতে টাকার কমিশন পেয়ে যাবেন। প্যাথলজির আয়া বা পুরুষ দালালরা হাসপাতাল খোলা থাকলে, রোগীদের টানাহ্যাচরা করে প্যাথলজিতে আনতে দেখা যায়। সিভিল সার্জন অফিস থেকে অভিযানে আসার আগেই প্যাথলজিগুলি জানিয়ে দেয়ার অভিযোগ রয়েছে। তখন প্যাথলজিগুলি বন্ধ করে রাখেন। এলাকাবাসীদের অভিযোগ, মানুষের রোগ হলে, মানুষ অসহায় হয়ে পড়েন, আর এই সুযোগটি ক্লিনিক, প্যাথলজি, চিকিৎসকরা কাজে লাগায়ে ফাইদা লুটছে। পুঠিয়ায় বেশ কিছু মানুষের একসময় কিছুই ছিল না। তারা শুধু প্যাথলজির ব্যবসা করে কোটিপতি হয়েছেন। দেখা গেছে, পুঠিয়ার কোনো পরীক্ষা-নীরিক্ষা রির্পোট, রাজশাহী জেলা সদরের কোনো চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে, সেগুলি বাতিল করে পূর্ণরায় নতুন করে পরীক্ষা-নীরিক্ষা করতে বলছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যক্তিরা বলেন, শুধুমাত্র জেলা সিভিল সার্জন অফিসের সঙ্গে সমঝতা করে অবৈধ প্যাথলজিগুলি চলছে। প্যাথলজিগুলি থেকে ভুয়া পরীক্ষা-নীরিক্ষার রিপোর্ট দেয়ার একাধিক অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু গ্রামের সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষগুলির অভিযোগ শুনার কোনো ব্যক্তি কিংবা সরকারি কোনো সংস্থা নেই। বরং প্যাথলজির মালিকের টাকার প্রভাবে কেউ প্রতিবাদ করে লাভ পায় না। এজন্য, উপজেলা জুড়ে যত্রতত্র ভাবে প্যাথলজিক গড়ে উঠার শাহস পাচ্ছে। এদের বেশীর ভাগ প্যাথলজিতে অভিজ্ঞ কোনো টেকনোলজিস্ট নেই। এরা বিভিন্ন অভিজ্ঞ পরীক্ষকদের ভুয়া সীল ব্যবহার করে রোগীদের রোগ নির্ণয়ের রির্পোট দিচ্ছেন। পুঠিয়া দুর্গাপুর চারঘাট তিন উপজেলার ক্লিনিক প্যাথলজি মালিক সমিতির সভাপতি আ.রহমান বলেন, উপজেলায় ১৬টি বৈধ প্যাথলজি রয়েছে। বাকি প্যাথলজিরগুলোর সঙ্গে আমাদের সমিতির কোনো সঙ্গে সম্পর্ক নেই। অবৈধ প্যাথলজির কারণে, আমাদের ব্যবসা ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।
এ ব্যাপারে রাজাশাহী জেলা সিভিল সার্জন ডা মো. কাইয়ুম তালুকদারকে প্রশ্ন করা হয়, পুঠিয়ায় ব্যাঙেরছাতার মতো ২৫টি প্যাথলজি গড়ে উঠেছে। তিনি বলেন আপনে বলেছেন, অচিরেই ব্যবস্থা গ্রহন হবে।