ভাত না দেয়ায় ক্ষিপ্ত দেবর ভাবিকে হত্যা করে লাশ বাড়ির পাশে খোলা জায়গাতে পুঁতে রাখে। শেরপুরের নকলায় বৃদ্ধা খোদেজা বেগমের (৬০) লাশ উদ্ধারের ৫ দিনের মাথায় হত্যা রহস্য উদঘাটন শেষে এ তথ্য নিশ্চিত করে পুলিশ। বুধবার (১৭ মার্চ) সকালে দেবর দুলাল মিয়া দোষ স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। এরআগে মঙ্গলবার দুপুরে দুলালকে আটক করে পুলিশ। খোদেজা বেগম উপজেলার ধনাকুশা মধ্যপাড়া এলাকার মৃত. আশকর আলীর স্ত্রী।
পুলিশ জানায়, ভাবি খোদেজার সংসারে থেকে দুলাল মিয়া গৃহস্থালীর কাজ করতেন। বিনিময়ে থাকা খাওয়ার সুবিধা পেত দুলাল। ৭ মার্চ দুলাল মিয়া সারাদিন গরুর জন্য ঘাস কেটে রাতে বাড়ি ফিরে ভাবির কাছে ভাত খেতে চায়। কিন্তু খোদেজা ভাত দিতে অস্বীকার করে। পুনরায় খেতে চাইলে রাগে খোদেজা বেগম ভাতের হাড়িতে পানি ঢেলে দেয়। পরে সেই রাগে খোদেজা বেগমের কাপড়ের আঁচল গলায় পেঁচিয়ে তাকে শ^াসরোধ করে হত্যা করে দেবর। এই ঘটনা ধামাচাপা দিতে খোদেজার লাশ বস্তাবন্দি করে বাড়ির পাশে খোলা জায়গাতে গর্ত করে মাটি চাপা দেয়।
নকলা থানার ওসি মুশফিকুর রহমান বলেন, খোদেজা বেগমের লাশ উদ্ধারের পর থেকেই তার পরিবারের উপর নজর রাখা হয়। পরিবারের অন্যসব সদস্যের মধ্যে দেবর দুলাল মিয়ার গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হয়। পরে তাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মঙ্গলবার আটক করলে সে ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দেয়। পরবর্তীতে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
প্রসঙ্গত, খোদেজা বেগম গত ৭ মার্চ রাতে নিখোঁজ হন। পর দিন ৮ মার্চ তার ছেলে খোরশেদ আলী বাদি হয়ে নকলা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর ১১ মার্চ সকালে বৃদ্ধার বাড়ির উঠানে একটি কুকুর মাটি আঁচড়ে বস্তার মুখ খোলার চেষ্টা করছিল। এ সময় বস্তা থেকে বিকট দুর্গন্ধ বের হলে প্রতিবেশীরা গন্ধের কারণ অনুসন্ধান করতে এসে বস্তায় খোদেজার গলিত লাশ দেখতে পায়। পরে পুলিশ খবর পেয়ে মাটি খুড়ে বস্তাবন্দি লাশটি উদ্ধার করে।