বগুড়ার আদমদীঘিতে জেসমিন আক্তার নামের এক ১০ শ্রেনীর স্কুল ছাত্রী অলৌকিক ভাবে মেয়ে থেকে ছেলেতে রূপান্তরিত হয়েছে। পুরুষে রূপান্তরিত হওয়ার পর তার নাম রাখা হয়েছে জুবায়েদ। আদমদীঘি উপজেলার লক্ষিপুর গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি জানাজানি হলে কৌতুহলি জনতা তাকে দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন।
জানা গেছে, আদমদীঘি উপজেলার নসরৎপুর ইউনিয়নের লক্ষিপুর গ্রামের কৃষক জালাল হোসেন জেসমিন আক্তারকে স্ত্রী মরিয়মের পেটে রেখে বিদেশে যান। ২০২১ সালে জেসমিন আক্তার ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর থেকে নানা-নানীর বাড়ি উপজেলার শাওইলে বসবাস করতেন। সেখানে জেসমিন আক্তার বড় হয়। বর্তমানে শাওইল দ্বীমুখি উচ্চবিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেনীতে লেখাপড়া করতেন। গত দুই বছর আগে তার বাবা বিদেশ থেকে বাড়িতে এসে কৃষি কাজ করতেন আর তাদের সংসারে এক মেয়ে এক ছেলে ছিলো। এদিকে গত চার মাস আগে জেসমিন আক্তারের কন্ঠস্বর বদলে যেতে শুরু করে। ছেলেদের মতো কন্ঠস্বর হতে থাকে। তার পর থেকে তার আচার-আচরণ ছেলেদের মতো হতে থাকে। ৪৫ দিনের মাথায় জেসমিন আক্তারের শরীরির গঠন পরিবর্তন হয়ে ছেলেতে রূপান্তরিত হন।
জেসমিন আক্তারের বাবা জালাল হোসেন মন্ডল জানায়, আমার রড় মেয়েটি ছেলেতে রূপান্তরিত হওয়ায় তার নাম রেখেছি জুবায়েদ। আমি অনেক খুশি হয়েছি মহান আল্লাহতালার কাছে। জোবাইদ মন্ডল জানায়, গত তিন মাস ধরে তার শারীরিক পরিবর্তন হওয়া শুরু করে। গত দেড় মাসের মধ্যে সে পুরোপুরি ছেলেতে পরিনত হয়। বিষয়টি সে তার নানা মোবারক আলীকে জানায়। এরপর নানা মোবারক চিকিৎসকের সরণাপন্ন হন। ঢাকার শাজাহানপুরে ইসলামি হাসপাতালে ডা. সৈয়দ শামসুদ্দিন আহমেদ তাকে পরীক্ষা নীরিক্ষা করেন। তাকে জানানো হয় তার শরীরে অতিরিক্ত পরিমান পুরুষ হরমোন থাকায় সে মেয়ে থেকে ছেলেতে রুপান্তর হয়েছে। ১৪ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এমনটি হয়ে থাকে। জোবাইদ মন্ডল আরোও বলেন, সে ছেলেতে রুপান্তর হওয়ায় বেশ খুশি।