কালিগঞ্জে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপিত হয়েছে সংক্ষিপ্ত পরিসরে। দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি প্রণয়ন করা হলেও করোনা পরিস্থিতি ও শ্যামনগরের ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগমণ উপলক্ষে শেষ মুহূর্তে কর্মসূচি সংক্ষিপ্ত করা হয়। শুক্রবার প্রত্যুষে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের শুভ সূচনা করা হয়। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয় ও সকাল ৮ টায় আনুষ্ঠানিকভাবে উপজেলা পরিষদ মাঠে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এ সময় জাতীয় সংগীতের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার রবিউল ইসলাম, থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ মো. দেলোয়ার হুসেন ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আবদুল হাকিম। পরবর্তীতে পুলিশসহ সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ের প্রতিষ্ঠানসমূহের কুচকাওয়াজ প্রদর্শন করে। উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। এর আগে সকাল ৭ টায় শহীদ সোহরাওয়ার্দী পার্কে অবস্থিত বিজয় স্তম্ভে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা প্রশাসন, থানা, আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠন, বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন, প্রেসক্লাব, রিপোর্টার্স ক্লাবসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এর পরপরই সরকারি কবরস্থানে শহীদ মুক্তিযোদ্ধার কবর জিয়ারত করা হয়। ফুটবল প্রতিযোগিতা, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের কর্মসূচি থাকলেও তা শেষ পর্যন্ত বাতিল করা হয়।
এদিকে স্বাধীনতা সুবর্ণজয়ন্তী ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফর উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কালিগঞ্জ উপজেলা ও সকল ইউনিয়ন শাখার পাশাপাশি এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠন বিকেল সাড়ে ৪ টায় উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের করে। র্যালিটি বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল প্রাঙ্গনে যেয়ে সমাবেশে মিলিত হয়। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও তারালী ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল হোসেন ছোট’র নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত এ কর্মসূচিতে বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।