প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে নির্মিত আশ্রয়ণ পল্লী। কোন মানুষ গৃহহীন থাকবে না; বঙ্গবন্ধু’র সুযোগ্য কন্যা আওয়ামীলী সভাপতি’র এই ঘোষনা শুধু ঘোষনাতেই নেই। বাস্তব রুপ পেয়েছে। আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় সারা দেশে প্রায় নয় লাখ গৃহ ও ভুমিহীনকে পর্যায়ক্রমে বাড়িসহ দুই শতক জমি দেওয়া হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলায় প্রথম পর্যায়ে এক শ’ বাড়ি নির্মানের কাজ শেষ হয়েছে। বাড়ির জন্য তালিকাভুক্ত ভুমি ও গৃহহীন পরিবারের স্বামী-স্ত্রীর নামে ইতোমধ্যে জমির রেজিস্ট্রেশন এবং বাড়ি দেওয়া হয়েছে। সান্তাহার ইউনিয়নের ভুমি ও গৃহহীনদের জন্য তারাপুর এর মোড়ে বিশাল ফসলের মাঠে, সান্তাহার-নাটোর আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে একই রংয়ের দুই ঘরের ১৪টি বাড়ি নিয়ে আশ্রয়ণ পল্লী তৈরী করা হয়েছে। আশ্রয়ণ পল্লিিট বাড়ন্ত বোরো ধানের সবুজ প্রান্তরের এক পাশে সৃষ্টি করেছে এক অপরুপ সৌন্দর্যের চিত্র। কিন্তু সুন্দর বাড়িগুলোতে এখনো বরাদ্দ প্রাপ্তরা বসবাস করতে আসেনি। বাড়িগুলো তালাবন্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। আদমদীঘি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সীমা শারমিন বলেন, বাড়িগুলো হস্তান্তর করার পরও কেউ কেন বসবাস করছেন না তা আমার জানা নেই। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখব। তবে উপজেলার ছাতিয়ানগ্রাম ইউনিয়নের ইশবপুরে ফসলের মাঠে নির্মান করা ১০ বাড়ির আশ্রয়ণ পল্লী গ্রামে বরাদ্দ প্রাপ্তরা বসবাস করছেন বলে জানিয়েছেন। সান্তাহারের এই পল্লীতে বসবাস করতে না আসার ব্যাপারে একাধিক কারণ জানা গেছে। সেগুলো হল ফসলের নীচু জমিতে নির্মিত হওয়ায় বর্ষা মৌসুমে বাড়িগুলো পানিতে নিমজ্জিত হয়ে বসবাস অনুপযোগী হয়ে পড়বে এমন আশংকা, বিদ্যুৎ সংযোগ এবং পানির সু ব্যবস্থা না থাকা।