নওগাঁর মান্দায় অপহরণ, চাঁদাবাজিসহ একাধিক মামলার আসামি চাঁদাবাজ সুমন হোসেনকে (৩৫) অবশেষে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ছিনতাইয়ের একটি মামলায় রোববার রাত ৮টার দিকে অভিযান চালিয়ে উপজেলা সদর প্রসাদপুর বাজার তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সুমন উপজেলার মান্দা সদর ইউনিয়নের বাদলঘাটা গ্রামের মৃৃত সোলাইমান আলী শাহের ছেলে। এদিকে সুমনকে গ্রেপ্তারের সংবাদে এলাকাবাসীর মাঝে ফিরে এসেছে স্বস্তি।
পুলিশের একাধিক সূত্র জানায়, গত ১১ মার্চ বিকেলে শিক্ষক মনোরঞ্জন সাহা ও তার কাকীমা কাজলি রানীকে পাওনা পরিশোধের কথা বলে গ্রেপ্তারকৃত সুমন নিজ এলাকায় ডেকে নেন। এরপর বাড়িতে না নিয়ে ওই এলাকার বোরো ধানের মাঠের একটি গভীর নলকূপের ঘরে নিয়ে তাদের আটক করে রাখা হয়। এ সময় শিক্ষক মনোরঞ্জন সাহা ও কাজলি রানী মধ্যে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগ তুলে মারপিট করে সুমন ও তার সহযোগীরা।
পরে গভীর নলকূপের ঘরে তাদের জিম্মি করে শিক্ষকের বাড়িতে লোক পাঠিয়ে ব্যাংকের চেক আনিয়ে নেন অভিযুক্তরা। এরপর তিনটি ফাঁকা চেক, কয়েকটি সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষরসহ শিক্ষকের কাছে থাকা ১০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় সুমনের সহযোগী মাইনুল ইসলাম, লালু মন্ডল ও সুলতানকে গ্রেপ্তার করা হলেও প্রধান আসামি সুমন উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছিলেন।
পুলিশ সূত্র আরও জানায়, গত ৩০ মার্চ নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার ঈশ্বর দেবত্তর গ্রামের মতিউর রহমানের নিকট থেকে টাকা ও মোবাইলফোন ছিনতাইয়ের মামলায় রোববার রাতে সুমনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে ছিনতাই, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন থানায় একটি মামলা রয়েছে বলেও সূত্রটি নিশ্চিত করে।
মান্দা থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি) শাহিনুর রহমান জানান, একটি দস্যুতার মামলায় রোববার রাতে সুমনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাদের পর তার নিকট থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ছিনতাইকৃত টাকাসহ বেশকিছু স্ট্যাম্প। তাকে জেলহাজতে পাঠিয়ে রিমান্ডের আবেদন করা হবে বলেও জানান ওসি।