নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে ভুট্টার আবাদে ঝুকে পড়েছে কৃষকরা। বিভিন্ন প্রকার ফসলের সাথে পাল্লা দিয়ে এখন ভুট্টা চাষে এ উপজেলার কৃষকেরা আগ্রহী হয়ে উঠেছে। অন্যান্য ফসলের তুলনায় ভুট্টা আবাদে খরচ অনেকটা কম পড়ে। তাছাড়া কম খরচে অধিক ফলন হওয়ায় ভুট্টা চাষে ঝুকে পড়েছে কৃষকরা। উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে গত বছরের তুলনায় এ বছর উপজেলার দ্বিগুণ জমিতে ভুট্টার চাষ হয়েছে।
বুধবার উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় দেখা যায়, বিস্তীর্ন মাঠ এখন ভুট্টার গাছে ছেয়ে গেছে। সবুজের আঁচলে ঢেকে গেছে এ এলাকার জমি। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে এবং বড় ধরণের প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে ভুট্টার বাম্পার ফলন হবে বলে আশাবাদী ভুট্টা চাষিরা। উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের মধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর, বাহাগিলী, নিতাই, পুটিমারী, বড়ভিটা, চাঁদখানায় ব্যাপক হারে বেড়েছে ভুট্টার চাষ। চারিদিকে ভুট্টা আর ভুট্টা যেন তিল ধারণের ঠাঁই নেই। বাহাগিলী ইউনিয়নের উত্তর দুড়াকুটি গ্রামের ভুট্টা চাষি আবদুল জব্বার বলেন, অন্য ফসলের তুলনায় কম খরচে অধিক ফলন হওয়ায় ভুট্টা চাষ লাভজনক হয়ে উঠেছে। তিনি বলেন বর্তমান বাজারে ভুট্টার চাহিদা ব্যাপক। এ কারণে তিনি এ মৌসুমে ৮ একর জমিতে ভুট্টা চাষ করেছেন। নিতাই বাড়ী মধুপুর গ্রামের ভুট্টা চাষি হাশেম জানান, যেভাবে ভুট্টার ব্যবহার বাড়ছে সে অনুযায়ী এ অঞ্চলে ভুট্টা ভিত্তিক কোন কলকারখানা গড়ে উঠেনি। তাই এ অঞ্চলে ভুট্টার আটা ও পশু খাদ্য তৈরীর মেশিন স্থাপন করা হলে ভুট্টা চাষ আরো বৃদ্ধি পাবে এবং চাষীরা তাদের ফসলের ন্যায্যমূল্য পাবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান বলেন, কৃষি প্রণোদনার আওতায় কৃষককে বীজ,সার, ভুট্টার প্রর্দশনীর মাধ্যমে ভুট্টা চাষে আগ্রহী করে তোলা হচ্ছে। এবার ৩ হাজার ২শ ২০ হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। উপজেলা কৃষি দপ্তরের মাঠ পর্যায়ের কৃষি উপসহকারী অফিসারগণ ভুট্টা চাষে সময়মতো সঠিক পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে। যার ফলে এলাকায় ভুট্টার বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।