করোনাভাইরাসের ঝুঁকি এড়াতে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখতে সরকারের কঠোর লকডাউন ঘোষনায় গোয়ালন্দের মাছ বাজার ও কাঁচাবাজার গোয়ালন্দ কামরুল ইসলাম কলেজ মাঠে স্থানান্তর করা হয়েছে। করোনাভাইরাসের ঝুঁকি এড়াতে স্বল্প জায়গায় অধিক ক্রেতার গাদাগাদি নিয়ন্ত্রণের জন্য গোয়ালন্দ উপজেলা প্রশাসন ও পৌরসভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৪ এপ্রিল (বুধবার) থেকে পরবর্তি নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কলেজের খোলা মাঠে বাজার চলবে।
বুধবার সকালে সরেজমিন দেখা যায়, কলেজের বিশাল মাঠের চত্বরের চতুর্দিক দিয়ে ৬ থেকে ১০ ফুট দুরে দুরে একএকজন বিক্রেতাকে জায়গা করে দেয়া হয়েছে। মাছ ব্যবসায়ীদের জন্য দেয়া হয়েছে কলেজের বিশাল মাঠের পাশে মেহগনি বাগানে। এ ব্যাপারে ব্যবসায়ীরা জানান, কলেজ মাঠে সবজি ও মাছ বিক্রি করতে আমাদের অসুবিধা নেই। কিন্তু ঝড়-বৃষ্টির সময় আমাদের অসুবিধায় পড়তে হবে।
গোয়ালন্দ পৌরসভার মেয়র মো.নজরুল ইসলাম মন্ডল জানান, গোয়ালন্দ বাজার ব্যাবসায়ীদের সাথে আলোচনা করে কাঁচা বাজার ও মাছ বাজারের জন্য নির্ধারিত কলেজ মাঠে ক্রেতা-বিক্রেতাদের জন্য যতটুকু সম্ভব অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করা হচ্ছে। বাজারের শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য ৩ জন কাউন্সিলর সার্বক্ষনিক ভাবে বাজার মনিটরিং করছে। ইতোমধ্যে অস্থায়ী কলেজ মাঠের ওই বাজারের ক্রেতা বিক্রেতাদের সুবিধার জন্য টিউবয়েল স্থাপন, টয়লেটের ব্যাবস্থা, এবং বাজারের প্রবেশমুখে হাত ধোয়ার জন্য সাবান পানির ব্যাবস্থা করা হয়েছে।এ ছাড়াও রাতে ব্যবসায়ীদের মালামাল রক্ষনাবেক্ষনের জন্য পর্যাপ্ত লাইটিং ব্যবস্থা সহ ৩ জন নাইটগার্ড দিয়ে পাহারার ব্যাবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে সবাইকে সহনশীল থেকে সরকারী সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে সহযোগিতার অনুরোধ জানাচ্ছি।
গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম জানান, সরকারের কঠোর লকডাউন ঘোষনায় করোনাভাইরাসের ঝুঁকি এড়াতে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখতে জনস্বার্থে সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাজার স্থানান্তর করা হয়েছে। এতে সাময়িক কিছুটা সমস্যা হলেও সকল মহলকে মানিয়ে চলার অনুরোধ জানাচ্ছি। ব্যবসায়ীদের সুবিধার্থে দ্রুতই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।