মহামারী করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে সরাইলে সর্বাত্বক লকডাউন পালিত হচ্ছে। সড়ক মহাসড়কে বন্ধ রয়েছে গণপরিবহণ। হাসপাতালে আসেনি রোগী। খুলেনি কোন মার্কেট ও নিষেধাজ্ঞার আওতাভূক্ত কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। জনমানব শুন্য উপজেলা চত্বরের অফিস পাড়া। রাস্তা ঘাটে পথে প্রান্তরে লোক সমাগম একেবারেই কম। কাঁচা বাজারের সাথে খোলা রয়েছে গুটি কয়েক খাবারের দোকান। তবে বোরো ধান কাটার মৌসমে শ্রমিক না আসায় বিপাকে পড়েছেন এখানকার কৃষকরা। সরকারের নির্দেশে বুধবার সরাইলে লকডাউন যথাযথ ভাবে পালিত হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেল ৫টার পরই বন্ধ হয়ে যায় হাট-বাজার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও যান চলাচল। গতকাল ভোর থেকেই মাঠে নেমে পড়ে পুলিশ। গুটি কয়েকটি কাঁচা বাজার, ঔষধের দোকান ও হোটেল ছাড়া সব কিছুই বন্ধ থাকে। মাঝে মধ্যে কিছু ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চোখে পড়লেও সিএনজি চালিত অটোরিকশা সহ অন্যান্য যানবাহন সড়কে নামেনি। সরাইল-নাসিরনগর-লাখাই আঞ্চলিক মহাসড়কের সরাইল হাসপাতাল মোড়ে পুলিশের চেক পোষ্ট। এ ছাড়া গুরূত্বপূর্ণ জায়গা সমূহে অবস্থান নিয়ে একান্ত প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাহিরে যেতে নিষেধ করছেন। হাইওয়ে পুলিশ ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের কুট্রাপাড়া মোড়, মহাসড়কের ডাম্পিং বরাবর সড়কে ও বিশ্বরোড মোড়ে বসিয়েছে চেক পোষ্ট। রোগী, খাদ্যশস্য, পণ্যবহনকারী, ওষুধ সহ লকডাউনের আওতামুক্ত গাড়ি সমূহ আটকে দিচ্ছেন। পুলিশ ও র্যাব সদস্যরা মোটরবাইক ও তাদের পিকআপ ভ্যানে মাইক বেঁধে ঘুরে জনসাধারণের উদ্যেশ্যে মাইকিং করছেন। সরাইলে চলছে বোরো ধান কাচার ধূঁম। শ্রমিক সংকটে বিপাকে পড়েছে এখানকার কৃষকরা। লকডাউনে যান চলাচল বন্ধ থাকায় ভিন্ন জেলার ধান কাটার শ্রমিকরা আসতে পারছেন না। তাই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। সরাইল থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি) এএমএম নাজমুল আহমেদ ও হাইওয়ে থানার কর্মকর্তা গাজী মো. শাখাওয়াত হোসেন বলেন, জনস্বার্থে লকডাউন বাস্তবায়নে আমরা মঙ্গলবার রাত থেকেই কাজ করছি। পুলিশ সদস্যরা রোজা রেখে ভোর বেলায় মাঠে নেমে পড়েছেন। গাড়ি চেকিং এর পাশাপাশি জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে মাইকিংও করছি। সকলেই কথা শুনছেন।