ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের প্রেমতলা-তারুয়া সড়কের নির্মাণকাজ নি¤œমানের সামগ্রি দিয়ে কাজ করার নানান অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রায় ১ কোটি ৭৭ লক্ষ টাকা ব্যয়ে সড়ক নির্মাণ কাজ করছে কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব উপজেলার মেসার্স মাহবুব আলম।নির্মাণকাজে নি¤œমানের বালি, ইট,ম্যাকাডম এবং পাথর ব্যবহার করাসহ বিটুমিন না দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
তারুয়া গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা সামসুল মিয়া জানান, টেন্ডার অনুযায়ী ৬ ইঞ্চি ইটের খোয়া দেয়ার কথা থাকলেও দেয়া হচ্ছে মাত্র দুই থেকে আড়াই ইঞ্চি। তার উপর দেওয়া হচ্ছে নি¤œমানের ইট।একই গ্রামের মো.আব্দুল আজিজ মেম্বার জানান, দীর্ঘ ছয় বছর কষ্টের পর উপজেলা চেয়ারম্যান মো: হানিফ মুন্সীর আন্তরিক প্রচেষ্টায় টেন্ডারের মাধ্যমে রাস্তার কাজ শুরু হয়েছে। সর্বশেষ ১৬ এপ্রিল রাস্তার পিচ ঢালাইয়ে এক ইঞ্চি দেওয়ার কথা থাকলেও পিচ দেওয়া হচ্ছে মাত্র আধা ইঞ্চি।তাছাড়া পিচ ঢালাইয়ের আগে বিটুমিন দেয়ার কথা থাকলেও তা পরিমানে অনেক কম দেয়া হচ্ছে। এভাবে কাজ করলে রাস্তা তিনমাসও ঠিকবে না।
উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হানিফ মুন্সির কাছে এ ধরনের অনিয়মসহ অভিযোগের খবর পৌছালে তিনি ১৬ এপ্রিল শুক্রবার সকালে ঘটনাস্থলে পৌছে শিডিউল অনুযায়ী কাজ করার নির্দেশ দেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠিান মেসার্স মাহবুব আলমকে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠিান মেসার্স মাহবুব আলমের প্রতিনিধি মোহাম্মদ শাহীন বলেন,আমরা শিডিউল অনুযায়ী কাজ করার চেষ্টা করছি। কোথাও কোন সমস্যা হলে পরবর্তীতে আমরা সেটা ঠিক করে দিচ্ছি।তবে কোন নি¤œমানের মাল ব্যবহার করা হয়নি।তবে এ বিষয়ে আশুগঞ্জ উপজেলার ভারপ্রাপ্ত প্রকৌশলী আবদুর রহিম মিয়া প্রতিনিধির সাথে কোন কথা বলতে রাজি হননি।এদিকে তারুয়া-প্রেমতলা রোডের কাজ সঠিকভাবে করা হচ্ছে কি না তা দেখার জন্য উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হানিফ মন্সি প্রতিদিন কাজ পরিদর্শনে যাবেন বলে তিনি তারুয়া ইউনিয়নের জনগণকে আশ^স্ত করেন।এ বিষয়ে তারুয়া ইউনিয়ন পরিষদেও মেমআবার বলেন,তারুয়া-প্রেমতলা রোডের কাজ সঠিকভাবে হচ্ছে কি না তা প্রতিদিন পরিদর্শনে আসার ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন উপজেলা পিরষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হানিফ মুন্সি। তনি বলেন,তারুয়া ইউনিয়নের জনগণের কষ্টের কথা চিন্তা করে একজন উপজেলা চেয়ারম্যান প্রতিিিাদন কাজ দেখতে আসবেন এটা একটা জনগণের প্রতিি উপজেলা চেয়ারম্যানের কতটুকু দায়বদ্ধতা আছে তা চিন্তার বিষয়। আমরা এধরনের উপজেলা চেয়ারম্যান বাংলাদেশের প্রতিটি উপজেলায় চাই।