সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জের নলকা ইউনিয়রের এরান্দহ গ্রামের ইমরান আল কায়েস নামের এক স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন কর্তৃক গৃহবধূ নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ৯৯৯ মোবাইল ফোন করা হলে সলঙ্গা থানা পুলিশ ঐ নির্যাতিতা গৃহবধূকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে থানায় মামলা দায়ের করেছে। থানা পুলিশ ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে বৃহস্পতিবার বিকাল ৩ ঘটিকার সময় কৃষ্ণদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং এরান্দহ গ্রামের মৃত জাবেদ আলী মন্ডলের পুত্র মোঃ ইমরান আল কায়েসের সাথে পার্শ্ববর্তী গ্রাম পাঙ্গাসী গ্রামের মৃত হায়দার আলী মন্ডলের কন্যা শাপলা খাতুন(৩১) এর বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের সংসারে দুটি কন্যাসন্তান জন্ম গ্রহন করে। তার কিছুদিন পরই তিনি অন্য একটি স্কুল শিক্ষিকার সাথে পরক্রীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে। এরপর থেকেই তার স্ত্রী মোছাঃ শাপলাকে বিভিন্ন ভাবে শারীরিক ও মানষিক নির্যাতন করতে থাকে। একপর্যায়ে গতকাল ৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবী করে ব্যাপক শারিরীক মারপিট শুরু করে দেয়। তারপর শাপলার পরিবারের পক্ষ থেকে ৯৯৯ ফোন করে সলঙ্গা থানা পুলিশ নির্যাতিতা গৃহবধূকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে থানায় মামলা দায়ের করেছে। মামলার আসামিরা হচ্ছে রায়গঞ্জ উপজেলার নলকা ইউনিয়নের এরান্দহ মন্ডল পাড়া গ্রামের মৃত জাবেদ আলী মন্ডলের পুত্র মোঃ ইমরান আল কায়েস(৩৫), মোঃ দয়ম আলী(৪৮), মোঃ সুজন আলী(৩২), ও একই এলাকার দয়ম আলীর স্ত্রী মোছাঃ হাছিনা খাতুন, মোঃ মোজাম্মেল হকের পুত্র মোঃ মনিরুল ইসলাম, দয়ম আলীর পুত্র মোঃ শামীম(২৪)। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আসামিরা পলাতক রয়েছে। এ ব্যাপারে সলঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল কাদের জিলানীর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে তিনি বলেন বিষয়টি নিয়ে থানায় মামলা হয়েছে আসামীদের গ্রেফতারের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোঃ তানজীর রহমানের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন থানায় মামলা রেকর্ড হয়েছে আইনগত প্রক্রিয়ায় আসামীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।