ফরিদপুর তাম্বুলখানা বীজ উৎপাদন খামারে উচ্চ ফলনশীল আগাম জাতের ব্রি ধান ২৮ এর বাম্পার ফলন হয়েছে। ধান পেঁকে সোনালী আবরণ ধারণ করেছে। বাতাসে সোনালী ধানের শীষ দোল খাচ্ছে। যে দিকে তাকাই সেদিকেই সোনালী ধানে সমারোহ।
শুরু হয়েছে ধান কর্তনের কাজ। কম্বাইন্ড হারভেস্টারের মাধ্যমে একই সাথে ধান কর্তন, মাড়াই ও ঝাড়াইয়ের কাজে চলছে। কম্বাইন্ড হারভেস্টার দিয়ে ধান কাটায় কমছে উৎপাদন খরচ। অল্প সময়ে অধিক জমির ধান কর্রন করতে পেরে খুশি চাষিরা।
চলতি মৌসুমে তাম্বুলখানা বীজ উৎপাদন খামরে বীজ ধান উৎপাদনের জন্য ডিসেম্বর মাসের ২৬ তারিখ থেকে ৩১ তারিখ পর্যন্ত ২১ একর জমিতে উচ্চ ফলনশীল ব্রি ধান ২৮ এর চাষ করে ছিল খামারের শ্রমিকরা। দীর্ঘ তিন মাস পরিচর্যার ফলে, ফলনও হয়েছে বাম্পার। গত ১৮ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে ধান কর্তনের কাজ। চাষিরা মনের আনন্দে ধান কর্তনের কাজ করছেন। বাজারে বীজ ধানের দাম ভালো পাওয়া খুশি তারা। তবে সার ওষুধের ধাম কমানোর দাবী জানিয়েছেন চাষিরা।
তাম্বুলখানা বীজ উৎপাদন খামারের চাষি আক্তার হোসেন বলেন, চলতি মৌসুমে ব্রি ধান ২৮ এর বাম্পার ফলন হয়েছে। এ ফলনের পেছনে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন খামারের সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. আলী হোসেন স্যার। তিনি খামারে যোগদানের পর থেকে নিরলস পরিশ্রম করেছেন। তার পরিশ্রমে খামারের চিত্র পাল্টে গেছে। তিনি সবসময় আমাদের সাথে থেকে লেবারের মতো কাজ করেছেন। জীবনের অনেকটা সময় এই খামারে কাজ করে কাটিয়ে দিয়েছি কিন্তু এমন কাজের মানুষ পাইনি। শুধু ব্রি ধান ২৮ ই নয়। খামারে আছে হাইব্রিড জাতের ধানও। আশা করছি হাইব্রিড ধানেরও ভালো ফলন আসবে।
তাম্বুলখানা বীজ উৎপাদন খামার সূত্র জানায় চলতি মৌসুমে ২১ একর জমি থেকে ৩৩ মে. টন বীজ উৎপাদন হবে। পরবর্তীতে এই বীজ স্থানীয় চাহিদা পুরন করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের চাহিদা পুরন করবে। তাম্বুলকানা বীজ উৎপাদন খামারের বীজের সারাদেশে ছড়ি পড়েছে।
বিএডিসি ফরিদপুর তাম্বুলখানা বীজ উৎপাদন খামারের সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. আলী হোসেন বলেন, ব্রি ধান ২৮ এর ফলন অন্যান্য বছরের চেয়ে ফলন ভালো হয়েছে। কম্বাইন্ড হারভেস্টার দিয়ে ধান কর্তন চলছে। কম্বাইন্ড হারভেস্টার দিয়ে ধান কাটলে বীজের লস কম হয় এবং শ্রমিক খরচও কম লাগে। আগাম জাতের ব্রি ধান ২৮ এর বীজের ব্যাপক চাহিদা সারা দেশে। আমরা স্থানীয় চাহিদা পুরন করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের চাহিদা পুরন করে থাকি। এবছর আমরা লক্ষমাত্রার চেয়ে অধিক বীজ সরবরাহ করতে পারব।