দেশব্যাপী মহামারি কোভিট-১৯ এর দ্বিতীয় ঢেউ সংক্রমণ রোধে চলছে লকডাউন। বন্ধ রয়েছে অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। কর্মহীন হয়েছে পড়েছে শ্রমজীবী খেটে খাওয়া মানুষ। লকডাউনের কারণে স্বাভাবিকভাবে গন্তব্যে যেতে পারছে না কিশোরগঞ্জ উপজেলার ৯ ইউনিয়নের নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষ। এতে দিন এনে দিন খাওয়া নিম্নআয়ের কৃষি শ্রমিক, রিকশাচালক, ফুটপাতের ব্যবসায়ীসহ অনেকে পড়েছেন বিপাকে। এতে করে শ্রম বিক্রি করে দিন আনা দিন খাওয়া মানুষ অনাহারে অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছে। প্রতি বছর এ মৌসুমে পরিবারের সদস্যদের মুখে অন্ন জোগাতে ওই জেলা থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের বিল, হাওর,বাওর এলাকায় ধান কাটতে যায় শ্রমজীবী মানুষজন। মহামারীর এ দুঃসময়ে করোনাভাইরাসের আঁতুর ঘরকে উপেক্ষা করে উপজেলা প্রশাসন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগের সার্বিক সহযোগিতায় করোনাভাইরাসে বসে না থেকে কৃষি শ্রমিকের সংকট মেটাতে এবারো বগুড়া, কুমিল্লা, গাজীপুর, নাটোর নওগাঁয় ধান কাটতে লোক পাঠাচ্ছেন তারা। জানা গেছে, গত রোববার উপজেলা পরিষদ চত্বরে আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে প্রথম পর্যায়ে ২শ ৭৭ জন, দ্বিতীয় পর্যায়ে ৫শ ৮৭ জন, তৃতীয় পর্যায়ে তথা মঙ্গলবার ৮শ ৯ জন কৃষি শ্রমিকের স্বাস্থ্য পরীক্ষা যাচাই-বাছাই করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হচ্ছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান বলেন, জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের নিমিত্তে বিভিন্ন জেলায় কৃষি শ্রমিক সংকট মেটাতে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।