কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার হিলচিয়া ইউনিয়নের বালীগাঁও সরকার বাড়ী গ্রামে চার সন্তানের জননীকে মারধরের ঘটনায় গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে পুলিশ দুই মহিলাকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, আবু বকর ছিদ্দিকের স্ত্রী দেলোয়ারা খাতুন (৫০) ও সোহেল মিয়ার স্ত্রী তানিয়া আক্তার (২১) কে আটক করার পর বাজিতপুর থানার পুলিশ বুধবার সকাল ১১ টায় কোর্টে চালান দিয়েছে। এলাকাবাসী ও থানা পুলিশ সূত্রে জানাগেছে, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে রফিকুল ইসলাম গং ও ছিদ্দু মিয়ার পরিবারের মাঝে জমি সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে গত ২ মে দিবাগত রাতে মোহাম্মদ আলী, জোৎস্না বেগম ও অন্য একজন মহিলা কে এলাকাবাসী ঘরে তালাবদ্ধ অবস্থায় রেখে দেয়। পরে এলাকাবাসী এসে তালা খুলে দিলে মোহাম্মদ আলী পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। এ সময় এলাকাবাসী জোৎস্না আক্তার (৬০) ও আমেনা খাতুন (৭০) কে মোহাম্মদ আলী গংরা মারধর ও চুল কেটে দিয়েছে বলে এলাকায় অভিযোগ রয়েছে। বর্তমানে জোৎস্না আক্তার ও আমেনা খাতুন কে বাজিতপুর সরকারী হাসপাতালে আহত অবস্থায় ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনাটি নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে রহস্যের ধানা বেধে উঠেছে। জোৎস্না আক্তারের ছেলে মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান, ঘরের মধ্যে আমার আপন মা জোৎস্না আক্তার, সৎ মা আমেনা খাতুন ও মোহাম্মদ আলীকে ঘরে তালাবদ্ধ করে রেখেছে একটি পক্ষ। প্রতিপক্ষরা বলেন, মোহাম্মদ আলী ও জোৎস্না আক্তারকে এলাকাবাসী তালাবদ্ধ করে রেখেছে। এই ব্যাপারে জোৎস্না আক্তার বাদী হয়ে মোহাম্মদ আলী, সোহেল মিয়া, তানিয়া আক্তার, দেলোয়ারা খাতুন সহ ৮ জনের বিরুদ্ধে বুধবার বাজিতপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। বাজিতপুর থানা ওসি মাজহারুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, দুই জন আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে অন্যদেরকে গ্রেপ্তার করবেন বলে জানান। এই খবর পাওয়ার পর বাজিতপুর সার্কেলের এএসপি মোঃ মঞ্জুরুল হক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।