ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলায় আধিপত্য নিয়ে দুই কিশোর গ্যাংয়ের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনায় দুপক্ষ থেকেই থানায় মামলা হয়েছে। কিন্তু এখনো কোনো পক্ষের মামলা এজাহারভুক্ত করা হয়নি।বুধবার (৫ মে) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলমগীর ভূঞা।
এর আগে উপজেলার সৈয়দাবাদে ৩ মে রাতে দুই কিশোর গ্যাংয়ের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় দুজন আহত হয়। আহতরা হলেন, ওই এলাকার বাদল ভূঁইয়ার ছেলে হৃদয় ভূইয়া ও রফিকুল ইসলামের ছেলে সবুর খান। রক্তক্ষরণে গুরুতর আহত হৃদয় ভূইয়ার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার সৈয়দাবাদ গ্রামের পশ্চিম পাড়ায় দীর্ঘদিন যাবত একই মহল্লার দুই যুবক আশিকুল ইসলাম ও ইসমাইল খানের নেতৃত্বে মহল্লার কিশোরদের সমন্বয়ে দুটি গ্যাং তৈরি হয়। এই দুই গ্যাংয়ের মাঝে আধিপত্য টিকিয়ে রাখার লড়াইয়ে ছোট খাট মারামারিও সংগঠিত হয়েছে। দুই গ্যাং মহল্লার কিশোরদের ফুসলিয়ে দলে আনায় ব্যস্ত থাকে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একে অপরের প্রতি উস্কানিমূলক স্ট্যাটাস দিচ্ছে।
গত ছয় মাসের মধ্যে দুই গ্যাংয়ের মধ্যে একাধিকবার রক্তক্ষয়ী মারামারি হয়েছে। ওইসব ঘটনায় থানায় মামলাও হয়েছে। গ্রামের মাতব্বররা সমাধান করে দিলেও থেমে নেই তাদের সংঘাত।
পূর্ব ঘটনাগুলোর জের ধরেই ২ মে রাতে ইসমাইল খানের চাচাতো ভাই আলামিনকে মারধর করে অপর পক্ষের কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ৩ মে রাতে আবারও ইসমাইল গ্যাংয়ের ছেলেদের ওপর দা, চাপাতি দিয়ে হামলা করে। তাদের চাপাতির কোপে হৃদয় ভূইয়া নামে এক কিশোরের একটি হাত প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সে নিয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক কুমিল্লা সরকারী হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে দ্রুত ঢাকায় স্থানান্তর করেন।