চলছে চরম মানবেতর করোনাকাল, আসছে পবিত্র ঈদ। এরই মধ্যে দেশে চলমান সময়ে আমরা রাজনৈতিক-প্রশাসনিক-অর্থনৈতিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের দ্বারা সংবাদমাধ্যম ও সংবাদযোদ্ধাদের উপর একের পর এক কষ্টের স্টিম রোলার চালাতে দেখছি। নিজেদের অপরাধ-দুর্নীতি ধামা চাপা দিতে তারা সংবাদমাধ্যম ও সংবাদযোদ্ধাদের উপর নির্ভর করছে, যারা রাজনীতি-অর্থনীতি ও প্রশাসননীতিতে দুর্নীতির রামরাজত্ব তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে স্বাধীনতার ৫০ বছর ধরে। এরই মধ্যে অন্যায়-অপরাধ-দুর্নীতির বিরুদ্ধে সংবাদযোদ্ধাদের যুদ্ধ চলতে থাকায় প্রতিদিন চাকুরীচ্যুত হচ্ছেন বাংলাদেশের সংবাদযোদ্ধারা। প্রতিদিন নেমে আসছে নির্যাতন-নিষ্পেষনের স্টিম রোলার। প্রতিদিন মামলা হচ্ছে সংবাদযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে। তবু বাংলাদেশে সাংবাদিকতায় আসছেন নতুন প্রজন্মের প্রতিনিধিরা। তবু বারবার নির্যাতন-নিষ্পেষন-নিপীড়ন হবে জেনেও নারী সাংবাদিকদের সংখ্যা বাড়ছে। কারণ কি জানেন? কারণ তারা বাংলাদেশকে ভালোবাসেন নীতির সাথে-প্রীতির সাথে।
দেশকে-দেশের গণমাধ্যমকে বাঁচাতে তৈরি হতে হবে বাংলাদেশের সত্যিকারের দেশপ্রেমিকদেরকে। তারা রাজপথে-কাজপথে যদি দুর্নীতির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকে, যদি দেশ বাঁচাতে সাহস নিয়ে মানুষকে ডাকে; তাহলেই সম্ভব বাংলাদেশের চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে সাংবিধানিকভাবে স্বীকৃত সংবাদমাধ্যম ও সংবাদকর্মীদেরকে কিছুটা নিরাপদ রাখা। তাছাড়া কোনভাবেই সম্ভব হবে না। কেননা, ইতমধ্যে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম সূচকে এবারও বাংলাদেশের কোনো অগ্রগতি হয়নি। বরং গত বছরের চেয়ে আরও একধাপ পিছিয়েছে বাংলাদেশ। গত বছর অবস্থান ছিল ১৫১তম, আর এবার অবস্থান ১৫২তম। রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস (আরএসএফ) ১৮০টি দেশের সূচক প্রকাশ করে। ২০২১ সালের এই সূচকে সবার শীর্ষে রয়েছে নরওয়ে। এর কারণ কি? কারণ একটাই। আর তা হলো- দেশের সরকার-পুলিশ-প্রশাসন-সাধারণ জনগন গণমাধ্যমের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস (আরএসএফ) ১৮০টি দেশের সূচক উপস্থাপন করেছে সেখানে নীতিহীন বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতাদের একের পর এক কষ্টযজ্ঞের কারণে নির্মমতার হাত ধরে ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৫২তম হয়েছে। এই লেখা যখন লিখছি, তখন খবর পেয়েছি- পুরানা পল্টন মোড়ে বাংলা টিভির রিপোর্টার আরমান কায়সার সহ বেশ কয়েকজনকে পুলিশ শারিরীকভাবে লাঞ্ছিত করেছে।
সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষকে ক্রমাগত যারা নির্যাতনের স্টিম রোলার চালিয়ে স্তব্ধ করে দিতে চাচ্ছে, তারাই এদেশে সাংবাদিকদেরকে ক্রমশ স্তব্ধ করে দিতে চাইছে। যে কারণে নির্মমতায় অগ্রসর হচ্ছে বাংলাদেশের প্রতিটা দিন প্রতিটা ক্ষণ। একজন নতুন প্রজন্মের রাজনীতি-শিক্ষা-সাহিত্য-সংস্কৃতি ও অর্থনীতি সচেতন নাগরিক হিসেবে বলতে পারি- বাংলাদেশ সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শচ্যুত হয়ে দেশকে কষ্টের নরকে পরিণত করতে কাজ করছে। আর তারই সূত্রতায় আজ জঘণ্যভাবে বাংলাদেশে সংবাদযোদ্ধাদের জন্য নির্মম দুঃসময়। উত্তরণে এখনই ঐক্যবদ্ধ হতে হবে, লিখতে হবে, বলতে হবে। আমরা দেখেছি যে, ২০২০ সালের সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৫১তম। আর ২০১৯ সালের সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৫০তম। অর্থাৎ, গতবারের সূচকেও বাংলাদেশের এক ধাপ অবনতি হয়েছিল।
তবে একথা তো সত্য যে, বাংলাদেশে সংবাদযোদ্ধাদেরকে সবসময় যুদ্ধের ময়দানেই থাকতে হয়। বেতন না পেলেও, সুযোগ-সুবিধা-নিরপত্তা না পেলেও দেশের প্রয়োজনে নিরন্তর রাজপথে-কাজপথে থাকতে হয় অবিরাম। বিনিময়ে মেলে বিভিন্ন মহলের ষড়যন্ত্র-নির্যাতন-চাকুরিচ্যুতি। তবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়েই এই সূচক। অর্থাৎ গণমাধ্যম কতটা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে তার ওপর ভিত্তি করে প্রতিবছর এই সূচক প্রকাশ করে থাকে আরএসএফ। ২০০২ সাল থেকেই এই সূচক প্রকাশ করা হচ্ছে। সূচকে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে আরএসএফের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, ২০২০ সালে করোনাভাইরাস সংকট এবং লকডাউন চলাকালে সাংবাদিকদের ওপর পুলিশ ও বেসামরিক সহিংসতা উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে। মহামারি ও সমাজে তার প্রভাব নিয়ে প্রতিবেদনের জন্য অনেক সাংবাদিক, ব্লগার, কার্টুনিস্ট গ্রেফতার ও বিচারের মুখোমুখি হয়েছেন। আর বিশেষ উদ্দেশ্য অর্জনে সাংবাদিকদের মুখ বন্ধ করতে সরকারের কাছে এখন একটি বিচারিক অস্ত্র আছে। তা হলো ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন। এই আইনে ‘নেতিবাচক প্রচারণা’র দায়ে সর্বোচ্চ সাজা ১৪ বছরের কারাদন্ড। ফলে আত্মনিয়ন্ত্রণ (সেলফ-সেন্সর) অভূত পর্যায়ে পৌঁছেছে। সম্পাদকেরা সংগত কারণেই জেল বা গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান বন্ধের ঝুঁকি এড়াতে চান।
সর্বশেষ ২০১৯ সালে পুননির্বাচিত হওয়ার পর সরকার গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে লক্ষণীয় কঠোর অবস্থান নিয়েছে। দলীয় নেতা-কর্মীদের হাতে সহিংসতার শিকার হয়েছেন সাংবাদিকেরা। তাদের নির্বিচারে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওয়েবসাইট ব্লক করে দেওয়া হয়েছে। দুঃখজনক হলেও সত্য, যেযসব সাংবাদিক দুর্নীতি বা স্থানীয় অপরাধী চক্র নিয়ে অনুসন্ধান করেন, তারা ভয়াবহ নির্যাতনের শিকার হন। এই নির্যাতনে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। চলতি বছরের সূচকে সবচেয়ে খারাপ অবস্থানে আছে সৌদি আরব, কিউবা, লাওস, সিরিয়া, ইরান, ভিয়েতনাম, জিবুতি, চীন, তুর্কমেনিস্তান, উত্তর কোরিয়া এবং এরিত্রিয়া। তালিকার ১৭০ থেকে যথাক্রমে ১৮০তম অবস্থানে রয়েছে এই দেশগুলো। অর্থাৎ এসব দেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নেই বললেই চলে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতা আর পুলিশ-প্রশাসনে নীতি বিবর্জিত ক্ষমতার চর্চার কারণে সাংবাদিক সাগর-রুনী হত্যার বিচার আমরা পাইনি। বিচার পাইনি আরো অসংখ্য সাংবাদিক হত্যার। শুধু এখানেই শেষ নয়; আমরা হামলা-মামলার শিকার সংবাদিযোদ্ধাদের পাশেও কখনো দাঁড়ানোর সংবাদ দেখিনি রাজনৈতিক নেতা-মন্ত্রী-এমপিদেরকে। তারা কেবল লোলুপ দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে ছাত্র-যুব-জনতার অধিকার হরণের দিকে। এসব মানবতা বিরোধী ব্যক্তির কারণেই ২০২০ সালে ৫০ সংবাদকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে বিশ^ব্যাপী। যেসব দেশে এই হত্যাকান্ড ঘটেছে সেসব দেশে কোনো যুদ্ধ চলছিল না। স্থানীয় সময় গণমাধ্যমকর্মীদের নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক সংগঠন রিপোর্টার্স উইথআউট বর্ডারস (আরএসএফ) তাদের বার্ষিক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়। আরএসএফের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, যেসব সাংবাদিকদের হত্যা করা হয়েছে তাদের মধ্যে বেশি ছিল অনুসন্ধানী সাংবাদিক, দুর্নীতি ও পরিবেশ ক্ষেত্রে কাজ করা।
বাংলাদেশও পিছিয়ে নেই সাংবাদিক হত্যায়-নির্যাতনে। এই করোনার মধ্যে দেশে সাংবাদিক বুরহানউদ্দিন মুজাক্কিরের শরীরে শটগানের ৬২টি গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে। নিহতের ভাই প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে বলছেন, আওয়ামী লীগের দু পক্ষের সংঘর্ষের সময় অস্ত্রধারীদের ভিডিও করার কারণে মুজাক্কিরকে হত্যা করা হয়েছে। নতুন প্রজন্মের প্রতিনিধি হিসেবে বরাবরই ছিলাম-আছি-থাকবো বাংলাদেশে সংবাদমাধ্য ও সংবাদযোদ্ধাদের পাশে। সেক্ষেত্রে খোদ প্রেসক্লাবের কর্মচারিদের দ্বারা হামলার শিকার হলেও যখন প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন ও সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান-এর পাশাপাশি সাংবাদিক নেতৃবৃন্দের কোন পদক্ষেপ দেখিনি; তখন মনে হয়েছে আমাকেই থাকতে হবে বাংলাদেশকে ভালোবেসে সংবাদযোদ্ধাদের জন্য নিরন্তর নিবেদিত। সেই নিবেদনের সূত্রতায় এই লেখার অবতারণা। আশা করি সাথে থাকবেন নতুন প্রজন্মের এ প্রতিনিধির; সাহসের সাথে থাকবেন নিরন্তর ভালোবাসা সহ সাথে সবসময়। যাইহোক, সংবাদযোদ্ধা মুজাক্কিরের মৃত্যুর বিষয়ে আলোচনা করছিলাম। সেখানে ফিরে যাই। যখন মুজাক্কিও হত্যার শিকার হয়; তখন নিজের শত সমস্যার মধ্যেও অনলাইন প্রেস ইউনিটির প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে খোঁজ খবর নেই, যোগাযোগ রাখি তার পরিবারের সাথে। একপর্যায়ে সুরতহাল শেষে তথ্য আসে জানতে পারি। পরে গিয়ে দেখি- ময়না তদন্তের প্রতিবেদনে তার মুখ, গলা ও বুকে শটগানের গুলি লাগার কথা বলা হয়েছে। ডান বুকে লেগে গুলি ফুসফুসে গিয়ে আঘাত করায় তার মৃত্যু হয়েছে। ময়না তদন্তকারী ডা. সোহেল মাহমুদ বলেন, ‘‘শটগানের ৬২টি গুলির চিহ্ন পেয়েছি। আমরা ছয়টি গুলি বের করেছি। এগুলো শটগানের ছোট জোট গুলি (পিলেট)। ’’ সুরতহাল প্রতিবেদনেও একই ধরনের কথা বলা হয়েছে। সেখানে বলা হয়, মুজাক্কিরকে সামনে থেকে গুলি করা হয়েছে।
‘সংঘর্ষ চলাকালে মুজাক্কির অস্ত্রধারীদের ভিডিও করেছিলেন কাছ থেকে। তারাই মুজাক্কিরকে সরাসরি গুলি করে হত্যা করে। গিয়াস উদ্দিন রনি ঘটনার পর ওই এলাকায় গিয়ে কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শীর সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘‘প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন আমাকে জানিয়েছে মুজাক্কির তার মোবাইল ফোন দিয়ে অস্ত্রধারীদের ভিডিও করছিল। সেটা বেশ কাছ থেকেই। তখনই তাকে গুলি করা হয়। ’ সেই সাথে বলে রাখা প্রয়োজন- মুজাক্কিরকে হত্যা করা হয় চাপরাশিরহাট পূর্ব বাজারে। তার ভাই ফখরুদ্দিন মুফাচ্ছির বলেন, ‘‘সন্ত্রাসীরা আমার ভাইয়ের মোবাইল ফোন ও ক্যামেরা কেড়ে নিয়ে প্রথমে মারধর করে। এরপর গুলি করে হত্যা করে। তার মোবাইল ফোন, ক্যামেরা এবং মানিব্যাগ পাওয়া গেছে। ’ তিনি আরো বলেছেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি, অস্ত্রধারীদের গুলি ছোঁড়া অবস্থায় সে ভিডিও করে ফেলেছিল। সে কারণেই তাকে ভিডিও করার পর পরই হত্যা করা হয়। তার গলা ও বুকে গুলির অনেক আঘাত দেখা গেছে। তাকে সামনে থেকে গুলি করা হয়। ‘বাজারের সিসি ক্যামেরা ছাড়াও অনেক মোবাইলে ওই ঘটনা ধারণ করা হয়েছে। পুলিশ চাইলেই অপরাধীদের এখন ওই ফুটেজ ধরে চিহ্নিত ও গ্রেপ্তার করতে পারে। ’
নিহত সাংবাদিক মুজাক্কির পড়াশুনার পাশাপাশি অনলাইন পোর্টাল বার্তাবাজারের স্থানীয় প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করতেন। তিনি নোয়াখালী সরকারি কলেজের মাস্টার্সের ছাত্র ছিলেন। সাত ভাই বোনোর মধ্যে তিনি ছিলেন সবার ছোট এবং অবিবাহিত। এক সময় ছাত্রলীগ করলেও কয়েক বছর ধরে সাংবাদিকতায় মনেনিবেশ করেন। তার বাবা অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক। এক ভাইও স্কুল শিক্ষক এবং আরেক ভাই ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সহকারি পরিচালক। মুজাক্কিরকে হারিয়ে হারিয়ে বাবা-মা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। মুজাক্কির হত্যাকান্ডের পর স্থানীয় সাংবাদিকরাও চাপের মুখে আছেন। এমন যখন দেশের অবস্থা! তখন সারাবিশে^র মত বাংলাদেশেও আন্তর্জাতিক মুক্ত গণমাধ্যম দিবস পালিত হবে। বড় বড় সাংবাদিক নেতারা বড় বড় কথা বলবেন, উন্নয়নের রোল মডেলের গল্প তারাও শোনাবেন। তারপর আবার কোন নতুন সাগর-রূনী, মুজাক্কির হত্যার শিকার হলে বিবৃতি দিয়ে আবারো ১০ কোটি টাকার প্রণোদনায় আপ্লুত হবেন। বলবেন- ‘আহা কি সুন্দর দেশ, কি সুন্দর দান...’ ।কিন্তু তা চায় না প্রকৃত সংবাদযোদ্ধারা। তারা চায় সংবাদমাধ্যমে সত্যিকারের ফ্রিডম। তারা চায় অবিরাম সত্য-সুন্দর-সাহসের সাংবাদিকতা। চায় মাস শেষে নিশ্চিত বেতন। চায় নিরাপত্তা। চায় অনিবার রাজপথ-কাজপথ। সত্য লেখনির শক্তি নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার সেই চাওয়াকে কেন আমরা পারবো না স্বাধীনতার ৫০ বছরেও গুরুত্ব দিতে-হত্যাকারীর বিচার করতে? কিসের এত কার্পণ্য আমাদের? কিসের এত লোভ? বলতে পারবেন কেউ?
বলতে পারেন বা না পারেন, একথা সত্য যে, যুদ্ধ চলছে অন্যায়-অপরাধ-দুর্নীতির বিরুদ্ধে সংবাদযোদ্ধাদের। তারা এ যুদ্ধে বিজয় আনবে, বিজয়ী হবে বাংলাদেশ। সেই সাথে তারা অপরাধী-ধর্ষক-খুনী-নীতিহীন প্রমাণিত হবে, বাংলাদেশে ধর্মকে পূঁজি করে, স্বাধীনতা আর সরকারের কিছু দুর্নীতিবাজ মন্ত্রী-এমপির রাজনৈতিক ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে যারা হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে, সেজেছে দেশের দরদী ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বা প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান-ব্যবস্থাপনা পরিচালক...
মোমিন মেহেদী : প্রতিষ্ঠাতা, অনলাইন প্রেস ইউনিটি