মণিরামপুরে একটি বিদ্যালয়ের জমি দখল করে দোকান ঘর তৈরি করার অভিযোগ উঠেছে দুই প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে। উপজেলার মনোহরপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের জমি দখলে নেয়ার পর থেকেই বারবার জমি ছাড়ার তাগাদা দেয়া হলেও তাতে কর্ণপাত করছে না বলে অভিযোগ। এ নিয়ে এলাকায় দফায় দফায় শালিস বৈঠক করেও কোন প্রতিকার হয়নি। দোকান ঘর উচ্ছেদ পূর্বক বিদ্যালয়ের জমি উদ্ধারে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
এলাকবাসী সূত্রে জানাযায়, উপজেলার মনোহারপুর ২৩৯নং মৌজা ওই মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যায়লয়টি অবস্থিত। ওই মৌজার ৩৩৯ নং দাগের ১০ শতাংশ জমি ৫নং খতিয়ানে বিদ্যালয়ের নামে হাল রেকর্ডভূক্ত হয়। কিন্তু ওই জমিতে জোর করে দোকান ঘর বানিয়ে দখলে রেখেছে মনোহরপুর গ্রামের মৃত. মোবারক আলী গাজীর ছেলে ডাঃ মশিয়ার রহমান গাজী ও একই এলাকার মৃত. ইসমাইল সরদারের ছেলে আহম্মদ আলী দফাদার।
এ ব্যাপারে মশিয়ার রহমান ও আহম্মদ আলীর দাবি, তারা স্কুলের জমি দখল করেনি। তারা মনোহরপুর ২৩৯নং মৌজায় ৬২’র পর্চা অনুসারে সাবেক ৭০১নং ও ৭০২নং দাগের (এসএ দাগ) ১১ শতাংশ জমি লাল চন্দ্র হাজারীর ছেলে সতীস চন্দ্র গং-এর কাছ থেকে খরিদ করা হয়। এরমধ্যে ৩ শতাংশ জমি বিদ্যালয়ের কাছে বিক্রি করা হয়।
মনোহরপুর তহসীল অফিসে খোঁজ নিয়ে জানাযায়, এসএ রেকর্ডভূক্ত ৭০১ ও ৭০২নং দাগের জমির হাল দাগ নং ৩৩৭ ও ৩৩৮। যা ৩টি খতিয়ানে রেকর্ডভূক্ত হয়েছে। এরমধ্যে ২৫৯৮নং খতিয়ানে নিজাম উদ্দীন, মজিদ গাজী, মুজিবুর রহমান, ৩৪৮১নং খতিয়ানে প্রভাতশীল, প্রকাশ, রিজাউর রহমান এবং ৩৪৮২নং খতিয়ানে মনোহরপুর বালিকা বিদ্যালয়ের নামে রেকর্ডভূক্ত হয়েছে। ওই সাবেক দুই দাগে (৭০১ ও ৭০২)-এর রেকর্ড অনুযায়ী হাল দাগ ( ৩৩৭ ও ৩৩৮)-এ মশিয়ার রহমান ও আহম্মদ আলীর নাম নেই।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফজলুর রহমান বলেন, জমি ছাড়তে বহুবার তাদের অনুরোধ করেও লাভ হয়নি। উপরোন্ত তারা মামলার ভয় দেখাই। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মাস্টার মশিয়ূর রহমান বলেন, দখলদারের একাধিকবার বলা হলেও কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি। এজন্য বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট লিখিত আবেদন করেও কোন সুফল পাননি। এমতাবস্থায় বিদ্যালয়ের জমিটি উদ্ধারের জন্য প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।