নওগাঁর পত্নীতলায় বুধবার সকালে বাঁশ কাটা নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে রাজু (২১) নামে এক যুবক নিহত হয়েছে। একই ঘটনায় নিহত রাজুর পিতা আফজাল হোসেনের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাঁকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের মামা মো. এনামুল ইসলাম (আজগর) ৮জনকে আসামি করে পত্নীতলা থানায় মামলা করেছে।গত ৫ মে পত্নীতলা থানায় প্রদত্ত এজাহার সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সকাল সাড়ে ৯টায় ডাসনগর গ্রামের জানা মন্ডলের পুত্র আফজাল হোসেন (৪৫) বাড়ির পাশ দিয়ে যাওয়া বিদ্যুৎ এর তারের উপর পড়ে যাওয়া বাঁশ কাঁটতে গেলে ডাসনগর দিঘীর পাড় গ্রামের মোঃ আঃ সালামের পুত্র ১। ছয়ফুল হোসেন, ২। মুকুল হোসেন, আলম হোসেনের পুত্র ৩। সানোয়ার হোসেন, কালাম হোসেনের পুত্র ৪। মামুন হোসেন. ৫। আমিনুল ইসলাম, মৃত ছহির উদ্দিনের পুত্র ৬। কালাম হোসেন, ৭। আলম. ৮। আঃ সালাম পূর্ব শত্রুতার জের ধরে লাঠি শোটা, হাসুয়া, লোহার রড নিয়ে হামলা করে। এ সময় ছয়ফুল হোসেন হাসুয়া দিয়ে আফজাল হোসেনের মাথায় আঘাত করলে সে মারাত্বক জখম হয়। পিতাকে বাঁচানোর জন্য রাজু এগিয়ে আসলে মুকুল হোসেন তাঁর হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে রাজুর মাথায় আঘাত করলে সে গুরুতর জখম হয়। স্বামী ও সন্তানকে রক্ষা করার জন্য বেনজু আরা বেগম এগিয়ে গেলে বিবাদীরা তাঁকেও বেদম মারপিট করে আহত করে এবং শ্লীলতাহানী করে। আঘাতের কারণে আফজাল ও রাজু মাটিতে লুটিয়ে পড়লে বিবাদীরা তাদের এলাপাতাড়ি মারধর করে স্থান ত্যাগ করে। পরে পরিবারের সদস্য ও গ্রামবাসীরা গুরুতর আহত অবস্থায় পিতা-পুত্রকে উদ্ধার করে পত্নীতলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। আহতদের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসকের পরামর্শে তাদের রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার রাতেই রাজু মারা যায়। এদিকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন পিতা আফজালের অবস্থাও আশংকাজনক বলে জানা গেছে।
বাঁশ কাটাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় ০৫ মে নিহত রাজুর মামা মোঃ এনামুল ইসলাম (আজগর) পত্নীতলা থানায় ৮জনকে আসামি করে পেনাল কোডের ১৪৩/৪৪৭/৩২০/৩২৬/৩০৭/৩৫৪/৫০৬ ধারায় মামলা দাখিল করেছেন। যার মামলা নং-০৮। এজাহারের প্রেক্ষিতে থানা পুলিশ বুধবার রাতেই এজাহারভুক্ত আসামি মুকুল হোসেন, মামুন হোসেনসহ গোলাপী বেগম ও মোসাঃ গকুল বেগমকে আটক করেছে।
এ বিষয়ে পত্নীতলা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সামসুল আলম শাহ এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আটককৃতদের বৃহস্পতিবার জেলা হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। অবশিষ্ট আসামীদের গ্রেফতার করার চেষ্টা চলছে।