নোয়াখালী কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় আ.লীগের দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানসহ উভয় পক্ষের ৭জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় শাহেদ নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশ। এ ঘটনায় শিমুল চৌধুরী ভাই শাহেদ চৌধুরীকে তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেছে কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশ।
জানা যায়, শুক্রবার বাদ জুমা কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের নাছের চৌধুরী বাড়ি সংলগ্ন এলাকায় এঘটনা ঘটে। জুমার নামাজ শেষ করে একই বাড়ির বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার অনুসারী ও বসুরহাট পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী শিমুলের সাথে উপজেলা আ.লীগের অনুসারী কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আজম পাশা চৌধুরী রুমেলের সাথে রাজনৈতিক পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তর্ক বিতর্ক বেধে যায়। তর্ক বিতর্কের একপর্যায়ে দু’পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষে দুই পক্ষের ৭ জন আহত হয়। আহতরা হলেন, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আজম পাশা চৌধুরী রুমেল, মঞ্জিল চৌধুরী, আরমান চৌধুরী, লিংকন চৌধুরী ও জুয়েল চৌধুরী এ ৫জন উপজেলা আ.লীগের অনুসারী।
অপরদিকে, আহত অন্যরা হলেন- আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী শিমুল ও নুর ইসলাম চৌধুরী এ ২ জন মেয়র আবদুল কাদের মির্জার অনুসারী। এরা সবাই কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এব্যাপারে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আজম পাশা চৌধুরী রুমেল জানান, সাবেক কাউন্সিলর শিমুল, সোহেল, শাহেদ চৌধুরীর নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে আমিসহ আমরা ৫জন আহত হই।
অপরদিকে সাবেক কাউন্সিলর আনোয়ারুল ইসলাম শিমুল চৌধুরী অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, রুমেল, আরমান ও মঞ্জিল চৌধুরীর নেতৃত্বে আমাদের ওপর হামলা চালানো হয়। এতে আমি ও আমার ভাই নুর ইসলাম চৌধুরী গুরুতর আহত হই। বার বার বাংলাদেশ আ.লীগের বিভিন্ন এলাকায় মারামারির হানাহানির কারণে কোম্পানীগঞ্জের মানুষ অতিষ্ট।