নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার ৭ নং মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের ভূঁইয়া দীঘি রাস্তার মাথা এলাকার আলী মিয়া রাজের বাড়িতে জায়গা-জমিনের বিরোধের জেরে জামরুল পাড়াকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত নুরুল হুদা প্রকাশ বাবলু (৩০)ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার সময় মারা গেছে। শনিবার বেলা ১১টার সময় মৃত্যু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সেনবাগ থানার কর্মকর্তা ইনচাজর্ (ওসি) মোঃ আবদুল বাতেন মৃধা।
এরাআগে গত বুধবার ( ১৯ মে) বিকেলে উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের ভূঁইয়াদিঘী রাস্তার মাথা এলাকার আলী মিয়া রাজের বাড়ির মোশারফ হোসেনের সঙ্গে একই বাড়ির আবদুর রবের সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। বুধবার বিকেলে আবদুল রবের নাতী অন্তর শরিয়ত উল্লাহ বতসঘরের পিছনে থাকা তার দখলীয় জায়গায় থাকা একটি জামরুল গাছ থেকে জামরুল পাড়া শুরু করলে নুরুল হুদা বাবলু সহ পরিবারের সদস্যরা বাঁধা দেয়। এ সময় একই বাড়ির জামাল উদ্দিন সুমন, নুর নবীর নেতৃত্বে কামাল হোসেন ও অন্তর সহ একদল সন্ত্রাসী প্রকাশ্যে দা, চেনী, কিরিছ, কুড়াল, লোহার রড় ও লাঠিসোটা দিয়ের এলোপাথাড়ী কুপিয়ে ও পিটিয়ে নুরুল হুদা বাবলুসহ মজিনা আক্তার, কমলা বেগম ও নাসিমা আক্তার সহ একই পরিবারের ৫ জন কে রক্তাক্ত আহত করে। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে সেনবাগ উপজেলা ৫০ শর্য্য স্বাস্থ্য হাসপাতালে ভর্তি করান। সেখানে বাবলুর অবস্থা অবনতি হলে কাতে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ কর। সেখানে ৩দিন চিকিৎসাধীন ধীন থাকা অবস্থায় শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার সময় নুরুল হুদা বাবলু মারা যায়। মৃত্যু সংবাদ বাড়িতে পৌছলে পরিবারের সদস্যদের মাঝে শুরু হয় শোকের মাতন।
এ ঘটনায় সেনবাগ থানায় বৃহস্পতিবার (২০মে)মোশারফ হোসেন বাদি হয়ে ৮জনকে আসামি করে আহত করার ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করলে পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরণ করে।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করলে সেনবাগ থানার ওসি বাবলু’র মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, যেহেতু এরআগে এ ঘটনায় আহত করার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। সেটি এখন হত্যা মামলা হিসেবে রুপান্তিত হবে। এই মামলায় সংশ্লিষ্টদের গ্রেফতারের চেষ্ঠা অব্যাহত রয়েছে।