আশাশুনি উপজেলার কুল্যা ইউনিয়নে দীর্ঘদিনে পাওনা টাকা আদায়ের লক্ষ্যে মটর সাইকেল আটকের ঘটনা ঘটেছে। রোববার (২৩ মে) কুল্যা ব্রীজের কাছে ইট ভাটায় এ ঘটনা ঘটে।
কুল্যা গ্রামের মুত কিনু পদ কর্মকারের পুত্র গৌরপদ কর্মকার জানান, দীর্ঘদিন ইটের ভাঁটা থেকে ইট নিয়ে কেনাবেচা করে আসছেন। কাকবাসিয়া গ্রামের আঃ ছালাম গাজী তার কাছ থেকে ইট কিনে ব্যবসা করে আসছিলেন। ২৩/০৩/২০ তারিখ হতে ২৫/৪/২০ পর্যন্ত তিনি গৌরপদের কাছ থেকে ২ লক্ষ ৫৫ হাজার ৭৫০ টাকার ইট ক্রয় করেন। ৭ দফায় তিনি ২ লক্ষ ২০হাজার টাকা পরিশোধ করেন। বাকী ৩৫ হাজার ৭৫০ টাকা পরিশোধ করেননি এবং তার কাছ থেকে ইট ক্রয় বন্দ করে দেন। এরপর থেকে গৌরপদ মোবাইল ও বিভিন্ন উপায়ে টাকা আদায়ে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। দীর্ঘদিন পর ২৩ মে কুল্যায় ভাটায় ছালাম আসলে তার সাথে দেখা হয়। তিনি তার পাওনা টাকা দাবী করেন। তাকে নিজের বাড়িতে এনে আম খাওয়ানো, এক থলি আম দেওয়ার পর হাত পা ধরে বাকী টাকা পরিশোধের অনুনয় করেন। ৬০০০ টাকা দিয়ে আর দিতে পারবে না বলে ছাফ জানিয়ে দিলে ভাটার তাদের মধ্যে বাকবিতন্ডা ও হালকা হাতাহাতি হয়। সব টাকা পরিশোধের চাপ দিয়ে মটর সাইকেল আটকে পাওনাদার স্থানীয় ইউপি সদস্যের মাধ্যমে গ্রাম পুলিশ কওছারের জিম্মায় রেখে দেন।
এব্যাপারে ইউপি সদস্য আলহাজ¦ আঃ মাজেদ জানান, গৌরপদ পাওনা আদায়ে অনেক চেষ্টা করেছেন। দেয়নি। পা ধরে টাকা দিতে অনুরোধ করেছেন। কিন্তু শোনেনি। বাধ্য হয়ে মটর সাইকেল আটক করে চৌকিদারের কাছে রেখে দেয়। মটর সাইকেলটি পুলিশের কাছে দেওয়া হয়েছে। একটা ফয়সালা হয়ে যাবে।
ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল বাছেত আল হারুন চৌধুরী জানান, ব্যবসার টাকা না পেয়ে মটর সাইকেল আটকের ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি ইউএনও মহোদয় ও ওসি মহোদয়কে অবহিত করা হয়েছে। সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে। ইনশাল্লাহ সমাধান হয়ে যাবে আশা করছি।
এব্যপারে আঃ ছালামের সাথে কথা বলতে বারবার চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি।