ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে পিরোজপুরের কাউখালীতে থেমে থেমে দমকা হাওয়া ও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শুরু হওয়া জোয়ারে পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পায়। এতে উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের প্রায় ২৮টি গ্রামের নিম্মঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। তলিয়ে গেছে বাড়ি ঘর ফসলি জমি, পুকুর ও ঘের। অস্বাভাবিক জোয়ারের কারণে কাউখালীর তিনটি ফেরিঘাটের গ্যাংওয়ে তলিয়ে গেছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবীদের পানিবন্দী লোকজনকে আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে আনার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। শিয়ালকাঠী ইউপির চেয়ারম্যান সিকদার দেলোয়ার হোসেন বলেন, দুপুরের দিকে জোয়ারের তীব্রতা খুবই বেশি ছিল। স্বাভাবিকের চেয়ে পাচঁ থেকে ছয় ফুট বেশি উচ্চতায় কচাঁ নদীর জোয়ারের পানি পাঙ্গাঁসিয়া বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে পানি প্রবেশ করেছে। এতে তাঁর ইউনিয়নের বির্স্তীন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এ ছাড়া সকাল থেকে থেমে থেমে গুঁড়ি গুঁড়ি বুষ্টি ও দমকা হাওয়া বইছে। চারদিকে নদী বেষ্টিত সয়না রঘুনাথপুর ইউপির চেয়ারম্যান এলিজা সাঈদ বলেন, চারদিকে নদী থাকায় জোয়ারের পানি অতি সহজে বিভিন্ন অংশে ঢুকে পড়েছে। জোয়ারের পানিতে ইউনিয়নের বেশির ভাগ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে ফসল ও মাছের ঘেরে ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সয়না রঘুনাথপুর ইউনিয়নে সাতটি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। লোকজন দিনের বেলা সেখানে যেতে চাচ্ছেন না। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)মোছা. খালেদা খাতুন রেখা বলেন, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে মঙ্গলবার রাতে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে বেড়িবাঁধ উপচে পানি ঢুকে পড়েছে। এসব এলাকার লোকজন রাতে আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়ে ছিল্। এ ছাড়া বুধবার দুপুর থেকে পানি বন্দি অসহায় পরিবারের মাঝে শুকনো খাবার বিতরন করা হয়েছে।