অবশেষে যৌবন ফিরে পেতে যাচ্ছে কুমিল্লার হোমনা উপজেলার কালিধর বিল সংলগ্ন সেই খালটি। সংবাদ প্রকাশের দীর্ঘদিন পরে ওই এলাকার সন্তান কুমিল্লা-০২, (হোমনা-তিতাস) সাংসদ সেলিমা আহমাদ মেরী ও দুই ভাই একজন ডিএমপি'র (ডিবি) অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মাহবুব আলম ও অন্যজন গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব এস এম নজরুল ইসলামের চেষ্টায় খালটি সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে আনুষ্ঠানিকভাবে কালিধর বিল সংলগ্ন মৃত সেই খালটি সংস্কার ও পুনঃখনন কাজের উদ্বোধন করা হয়। সংসদ সদস্য সেলিমা আহমাদ মেরী প্রধান অতিথি হিসেবে এই খনন কাজের উদ্বোধন করেন।
এই খনন কাজের উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে কালিধর বিলে উপজেলার আসাদপুর ও দুলালপুর দুই ইউনিয়নের ৭ গ্রামের ডুবে যাওয়া স্বপ্ন উঁকি দিল। খালটি খনন করে পূর্ণ সংস্কার করা হলে উপজেলার আছাদপুর ও দুলালপুর ইউনিয়নের- জয়নগর, উজানের কান্দি, খুদেদাউদপুর, পাথালিয়াকান্দি, কাশিপুর, দুলালপুর ও কালমিনার হাজার মানুষের ফসলে ভরা সোনালী স্বপ্ন পূর্ণ হবে।
খালটি দীর্ঘদিন খনন না করায় বর্ষায় পলি জমে, বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা আর দখলে ভরাট হয়ে বিলের চারপাশের হাজার বিঘা জমি বছরের পর বছর অনাবাদী থেকে পানির নিচে ডুবে ছিল ওই সব মানুষের সুখ-স্বপ্ন।
বিলের সংযোগ খালটি খনন উপলক্ষে উদ্বোধনী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সেলিমা আহমাদ মেরী এমপি বলেছেন, কালিধর বিলের খালটি পুনঃ খননের মধ্য দিয়ে হাজারো কৃষকের স্বপ্ন পূরণ হলো আজ। কৃষক বাচঁলে দেশ বাঁচবে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূর্ণ হবে।
খাল খনন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন কুমিল্লার প্রকৌশলী মো. মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন সেলিমা আহমাদ মেরী।
বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত ডিআইজি ডিএমপি (ডিবি) মো. মাহবুব আলম, গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব এসএম নজরুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুমন দে।
আরও উপস্হিত ছিলেন সাবেক কমিশনার এবিএম এনামুল হক কাইয়ুম সরকার, অ্যাড. আলী আশরাফ, আছাদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জালাল উদ্দিন পাঠান, হোমানা উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. কায়সার বেপারি ,সহ-সম্পাদক তছলিম সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মেহেদী হাসান, সাংবাদিক মোরশিদ আলম, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. ফয়সাল সরকার, সাধারণ সম্পাদক ফোরকানুল ইসলাম পলাশ, অ্যাড. মো. আমজাদ হোসেন সরকার, ব্যাংকার মো. ফজলুল হক, মো. মেহেদী হাসান রাজিব, মো. কায়েস, মো. সাদ্দাম হোসেন, ইউপি সদস্য মো হাফেজ প্রমুখ। শেষে বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা মো. হাবিবুর রহমান।