মণিরামপুর উপজেলার গোপিকান্তপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জালাল উদ্দীনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। জালিয়াতি এবং দূর্নীতির দায়ে বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদ রোববার (৩০মে) সকালে মিটিং শেষে তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানা গেছে। একই সাথে প্রধান শিক্ষক জালাল উদ্দীনকে আগামী দুইদিনের মধ্যে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অসীম রায়কে বিদ্যালয়ের যাবতীয় কাগজপত্র বুঝে দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি নিতাই চন্দ্র পাল বলেন, বিদ্যালয়ের চলমান কমিটিকে পাশ কাটিয়ে ১২/০১/২০২১ ইং তারিখে আল-আরাফা ইসলামি ব্যাংক মণিরামপুর শাখা থেকে রিজার্ভ ফান্ড থেকে টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন। এছাড়াও ২০১৯ সালে ওই বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের কোন কমিটি ছিলোনা। অথচ প্রধান শিক্ষক জালাল উদ্দীন ০৫/০১/২০১৯ ইং তারিখে একটি ভূয়া কমিটি তৈরি করে মণিরামপুর সোনালী ব্যাংক শাখা থেকে বিদ্যালয়ের নামে রাখা স্থায়ী সঞ্চয় (এফডিআর) এর টাকা উত্তোলন করে করেছেন। এসব বিষয় নিয়ে বিদ্যালয়ের বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ ৭ দিনের মধ্যে জবাব চেয়ে ১৮/০৫/২০২১ ইং তারিখে প্রধান শিক্ষক জালাল উদ্দীনকে দ্বিতীয় কারণ দর্শানো নোটিশ প্রদান করে। গত ২৫/০৫/২০২১ইং তার এ নোটিশের জবাব দেওয়ার শেষদিন থাকলেও তিনি জবাব না দিয়েই পেশিশক্তি ব্যবহার করে বিদ্যালয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেন। এ সকল ঘটনায় তার বিরুদ্ধে পরিচালনা পর্ষদের সদস্য মতিয়ার রহমান বাদী হয়ে মণিরামপুর থানায় সাধারন ডায়েরী করেন। যার নং-৮১৯।
পরিচালনা পর্ষদের সদস্য মতিয়ার রহমান বলেন, বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী আবদুল গণি গত ১৮/০৫/২০২১ ইং তারিখ প্রধান শিক্ষক জালাল উদ্দীনের বাড়িতে কারণ দর্শানো নোটিশ দিতে গেলে তাকে ৪ ঘন্টা জিম্মি করে রাখা হয়। বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের শিক্ষক প্রতিনিধি কাজল কুমার পাল বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, প্রধান শিক্ষক জালাল উদ্দীনকে তার দায়িত্ব থেকে রোববার গোঃ মাঃ বিঃ/সঃ/৫/২১ স্মারক নং বরখাস্তদেশ পত্র (সাময়িক বরখাস্ত) বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী আলী আকবর-এর মাধ্যমে প্রধান শিক্ষক জালাল উদ্দীনের নিকট পৌছে দেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকশিক্ষা বোর্ড যশোরের বিদ্যালয় পরিদর্শক, জেলা শিক্ষা অফিসার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর পত্র প্রেরণ করা হয়েছে।