রাজশাহীর বাঘায় রেড জোন ঘোষণার পর মাজারের প্রধান গেটে বাঁশ দিয়ে ব্যারিকেড তৈরি করা হয়েছে। সেই সাথে প্রবেশ পথে পাহারা বসানো হয়েছে আনসার সদস্যদের। এরপরও বিধিনিষেধ না মেনে প্রবেশ করছে দর্শনার্থীরা। এতে করে করোনা ঝুঁকি বাড়ছে।
জানা যায়, করোনাভাইরাসের বিস্তার বেড়ে যাওয়ায় দ্বিতীয় ঢেউয়ে বুধবার থেকে বাঘা উপজেলাকে রেড জোন ঘোষণা করা হয়েছে। তারপর থেকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য এলাকায় মাইকিং করা হচ্ছে। এ ছাড়া জনসমাগম এলাকায় সতর্কতার সাথে চলাচল করার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এই নির্দেশনার পর থেকে বাঘা মাজারের প্রধান গেটে বাঁশ দিয়ে ব্যারিকেড দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে বাঘা মাজারের মতোয়ালি খন্দকার মো. রইশ উদ্দীন জানান, বর্তমানে নিরাপত্তার স্বার্থে মাজারের মূল গেটে আনসার সদস্য দিয়ে পাহারার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আনসার সদস্যরা লোক সমাগম ঠেকাতে বাঁশের ব্যারিকেড দিয়েছেন। তবে মাজার দেখতে আসা মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভেতরে প্রবশে করানো হচ্ছে। তারপরও অনেক দর্শনার্থীরা বিধিনিষেধ মানছেন না।
এ বিষয়ে বাঘা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পাপিয়া সুলতানা বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য মাজারের মতোয়ালিকে দেখভাল করার জন্য বলা হয়। সেই সাথে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিয়মিত তদারকি করা হচ্ছে। এজন্য জনগণকেও সচেতন হতে হবে। করোনার মতো ভয়ঙ্কর ব্যাধিকে মোকাবিলা করতে জনসচেতনতার বিকল্প নেই।
বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রাসেদ আহম্মেদ জানান, বৃহস্পতিবার বিকাল পর্যন্ত উপজেলায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২২৫ জন। উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের। তবে একটি বাড়িতে করোনা রোগী শনাক্ত হলে, পুরো এলাকা লকডাউন না করে, সেই বাড়িসহ আশেপাশের কয়েকটি বাড়ি লকডাউন করা হচ্ছে।