গাজীপুরের কাপাসিয়া সদর ইউনিয়নের কান্দানিয়া গ্রামের দুই সহপাঠী শিক্ষার্থী মোটরসাইকেল আরোহী ঢাকা সড়কের রাজাবাড়ির এসিআই গেইট এলাকায় বাসের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহতদের বুধবার সকালে জানাজা নামাজ সম্পন্ন হয়েছে। এর আগে গত মঙ্গলবার বিকেলে ওই গ্রামের অলিউল্লাহর পুত্র তরিকুল ইসলাম (১৮) ও আবদুল হকের পুত্র মেহেদী হাসান (১৯) দুর্ঘটনার শিকার হয়। স্থানীয় বেপারী বাড়ি মসজিদ মাঠে বিপুল সংখ্যক মুসল্লির অংশগ্রহনে প্রতিবেশী দুই বন্ধুর জানাজায় নামাজে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারনা হয়।
জানাযায়, উপজেলার কান্দানিয়া গ্রামের মধ্যপাড়ার কৃষক আবদুল হকের বাড়িতে মঙ্গলবার পারিবারিক অনুষ্ঠান ছিল। চাকুরীর সুবাদে তার কন্যা রাজেন্দ্রপুর এলাকায় বসবাস করার কারণে তার জন্য পুত্র মেহেদী মোটরসাইকেলে করে খাবার নিয়ে যাচ্ছিল। পথে কাপাসিয়াগামী রাজদূত-পথের সাথী পরিবহনের একটি বেপরোয়া বাসের সাথে তাদের মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে তরিকুল ইসলাম ঘটনাস্থলে এবং মেহেদী হাসান হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান। ঘটনার পর বাস চালক পালিয়ে গেছেন। দুই বন্ধুই স্থানীয় বরুন উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। দুর্ঘটনার শিকার মোটরসাইকেলটি মেহেদী হাসানের বড়ভাই ইব্রাহীমের বলে জানা গেছে। মৃত মেহেদী সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন প্রধানের ভাগিনা।
শ্রীপুর থানার এসআই মাহবুব হাসান ঘটনার সত্যতা স্বিকার করেছেন। পরিবারের দাবীর প্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত বা কোন প্রকার আইনি ব্যবস্থাগ্রহন ছাড়াই লাশ দাফন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।