পাবনা সদরের মালিগাছা ইউনিয়নের মনোহরপুর বড়ব্রীজ সংলগ্ন খালের পানিতে তলিয়ে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। মৃত শিশুরা হলো; মনোহপরপুর গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে স্কুল ছাত্র জুয়েল রানা (১৩) ও জিয়াউর রহমানের ছেলে স্কুল ছাত্র জেহাদ হোসেন (১৩)। সোমবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য একরাম হোসেন দুই শিশুর মৃত্যু নিশ্চিত করে জানান, এদিন দুপুরে জুয়েল ও জেহাদ খালের পাড় থেকে পানির মধ্যে লাফি দিয়ে খেলা করছিল। হঠাৎ ¯্রােতের পাকের মধ্যে পড়ে যায় একজন। আরেকজন তাকে উদ্ধারে হাত বাড়িয়ে টান দেয়ার চেষ্টাকালে সেও ওই পাকের মধ্যে পড়ে ডুবে যায়। খালের উপরে থাকা অন্যরা চিৎকার শুরু করলে স্থানীয় প্রায় অর্ধশতাধিক মানুষ খালের কমপক্ষে ১০ ফুট গভীর পানির মধ্যে নেমে তল্লাসী শুরু করে। ঘটনার দেড় ঘন্টা পর জেহাদকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। এরপর বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে জুয়েল অনেক খোঁজাখুজির পর উদ্ধার করে স্থানীয়রা। তাকে দ্রুত হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জুয়েলকেও মৃত ঘোষনা করেন। একই সাথে মর্মান্তিক ভাবে দুই শিশুর মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
স্থানীয় বাসিন্দা রায়হান আলী, আওয়াল হোসেন, এনছের আলী জানান, ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়া হলে ৬ জন ফায়ার সার্ভিসের কর্মী ঘটনাস্থলে এসেছিল। কিন্তু তারা বাচ্চা দুটি উদ্ধারে কোন হাত বাড়ায়নি। উদ্ধার হওয়ার পর তারা চলে যায়। তাদের অভিযোগ, তাদের নিয়মতান্ত্রিক তৎপরতা থাকলে হয়তো বাচ্চাগুলো প্রাণেও বাঁচতে পারতো।পাবনায় খালের পানিতে ডুবে দুই শিশুর সলিল সমাধি
এফএনএস (খাইরুল ইসলাম বাসিত; পাবনা) :
পাবনা সদরের মালিগাছা ইউনিয়নের মনোহরপুর বড়ব্রীজ সংলগ্ন খালের পানিতে তলিয়ে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। মৃত শিশুরা হলো; মনোহপরপুর গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে স্কুল ছাত্র জুয়েল রানা (১৩) ও জিয়াউর রহমানের ছেলে স্কুল ছাত্র জেহাদ হোসেন (১৩)। সোমবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য একরাম হোসেন দুই শিশুর মৃত্যু নিশ্চিত করে জানান, এদিন দুপুরে জুয়েল ও জেহাদ খালের পাড় থেকে পানির মধ্যে লাফি দিয়ে খেলা করছিল। হঠাৎ ¯্রােতের পাকের মধ্যে পড়ে যায় একজন। আরেকজন তাকে উদ্ধারে হাত বাড়িয়ে টান দেয়ার চেষ্টাকালে সেও ওই পাকের মধ্যে পড়ে ডুবে যায়। খালের উপরে থাকা অন্যরা চিৎকার শুরু করলে স্থানীয় প্রায় অর্ধশতাধিক মানুষ খালের কমপক্ষে ১০ ফুট গভীর পানির মধ্যে নেমে তল্লাসী শুরু করে। ঘটনার দেড় ঘন্টা পর জেহাদকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। এরপর বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে জুয়েল অনেক খোঁজাখুজির পর উদ্ধার করে স্থানীয়রা। তাকে দ্রুত হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জুয়েলকেও মৃত ঘোষনা করেন। একই সাথে মর্মান্তিক ভাবে দুই শিশুর মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
স্থানীয় বাসিন্দা রায়হান আলী, আওয়াল হোসেন, এনছের আলী জানান, ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়া হলে ৬ জন ফায়ার সার্ভিসের কর্মী ঘটনাস্থলে এসেছিল। কিন্তু তারা বাচ্চা দুটি উদ্ধারে কোন হাত বাড়ায়নি। উদ্ধার হওয়ার পর তারা চলে যায়। তাদের অভিযোগ, তাদের নিয়মতান্ত্রিক তৎপরতা থাকলে হয়তো বাচ্চাগুলো প্রাণেও বাঁচতে পারতো।