কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার দিয়ে বয়ে যাওয়া নরসুন্দা নদীর উপর মহিনন্দ ও বৌলাইয়ের সীমান্তবর্তী রঘুখালী এলাকার সংযোগ সেতু ভেঙ্গে যাওয়ায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। সম্প্রতি সেতুটির পাশে বাঁশের সাঁকো তৈরী করা হলেও ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করছে অনেক মোটরসাইকেল ও চলাচল করছে পথচারী। সেতুটি পাকা বিলম্বিত হওয়ায় জনমনে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। সেতুটি বাস্তবায়িত না হওয়ায় কয়েক গ্রামের মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন।
অন্যদিকে তাড়াইল উপজেলার তালজাঙ্গা এলাকায় ধলেশ্বরী নদীর ওপর পাকা সেতুর একপাশ ২০১৯ সালের ২৫ অক্টোবর ভেঙে যায়। এতে কিশোরগঞ্জের সঙ্গে তাড়াইল উপজেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা বিছিন্ন হয়ে পড়ে। সেতু ভেঙে যাওয়ায় বন্ধ থাকে সব ধরনের যান চলাচল। এতে দুর্ভোগে পড়েন চলাচলকারীরা। পরে এলজিইডির মাধ্যমে বিকল্প পথে যানবাহন চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়।
এভাবে কয়েক বছর চলার পর চলতি বছরের ৯ জানুয়ারি তাড়াইল হেডকোয়ার্টার-নীলগঞ্জ জিসি রাস্তায় ৮৭৪২ মিঃ চেইনেজে ১৫ মিঃ ধীর্ঘ আরসিসি গার্ডার ব্রীজ নির্মাণ কাজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মোঃ মুজিবুল হক চুন্নু এমপি। বর্তমানে সরেজমিনে পরিদর্শনে দেখা যায় সেতুটির সংস্কার কাজ পুরোদমে এগিয়ে চলছে। সেতুটির কাজ শুরু হওয়ায় জনমনে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
মহিনন্দের ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান খোকন বলেন, রঘুখালী এলাকার সেতুটি ভেঙে রেখেছিলো অনেক দিন। এতে আমাদের ইউনিয়নের লোকজন নরসুন্দা নদীর ওপারে যেতে পারছিলেন না। অন্যরাও এদিকে আসতে পারছিলেন না। পরে আমাদের দাবীর প্রেক্ষিতে একটি বাঁশের সাকো তৈরী করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। সেতুটি কবে পাকা হবে তা জানেনা এলাকাবাসী। বৌলাই ইউনিয়নের ছয়না এলাকার বাসিন্দা আল মামুন বলেন, আমাদের বৌলাই ইউনিয়নসহ হাওরাঞ্চলের মানুষ এ রাস্তা দিয়ে শহরে যাতায়াত করেন। কিন্তু সেতুটি বাস্তবায়ন বিলম্বিত হওয়ায় জন দুর্ভোগ বেড়েই চলেছে।
কিশোরগঞ্জ এলজিইডির উপসহকারী প্রকৌশলী মুহাম্মদ আমির হোসেন বলেন, তাড়াইল হেডকোয়ার্টার-নীলগঞ্জ ব্রীজটির কাজ বৃষ্টিজনিত কারণে সমস্যা হচ্ছে। এরপরও কাজটি দ্রুত বাস্তবায়নে চেষ্টা চলছে। রঘুখালী এলাকার সংযোগ সেতু বাস্তবায়নের জন্য জানতে চাইলে তিনি সদর উপজেলার প্রকৌশলী জোনায়েত আলমের সাথে যোগাযোগের জন্য বলেন। তার সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেয়া যায়নি।