উত্তরের পাহাড়ী নদীর ভাঙ্গন ও নদী সংলগ্ন কৃষকের ডোবা, নালা ও পুকুর তৈরি করার কারনে জলাবদ্ধতা জলাশয় সৃষ্টি হয়ে জমে থাকা একটু একটু পানি চুইয়ে ওল্টো নদীর দিকে প্রবাহিত ও নদীর তীব্র ¯্রােতের প্রবাহিত পানির চাপে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার নয়াবিল ইউনিয়নের পাহাড়ী ভোগাই নদীর পাড় ধ্বসে বড় ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়েছে।
ফলে পাড় ভাঙ্গনে কৃষকের মাঠের ফসলী জমি, মাল্টা বাগান, পুকরের মাছ, বাড়ীঘর পানিতে ডুবে সৃষ্ঠ জনদুর্ভোগ এখন চরমে পৌঁেছছে। এলাকাবাসীর দাবী দ্রুত সময়ে এই বাধ নির্মিত না হলে আবারও এই নদী পাড় ভাংঙ্গনের স্বীকার হবে মানুষ।
ইউপি পরিষদ ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতিক সময়ে প্রচন্ড বৃষ্টিপাতে সৃষ্ঠ পাহাড়ী বন্যায় খড়শ্রোতা নদীর তীব্র ¯্রােতে ভোগাই নদীর পাড় বেষ্টিত নয়াবিল, রামচন্দ্রকুড়া, মরিচপুরান ইউনিয়নের প্রায় ২০ জায়গায় পানি গড়িয়ে ও নদীর পাড় ভেঙ্গে বিস্তৃর্ন এলাকা প্লাবিত হয়। এর মধ্যে নয়াবিল এলাকার ৫জায়গার ৬টি পয়েন্ট প্রায় ৫শ ফুট ভেঙ্গে গেছে ও ১হাজার ফুটের উপড়ে নদীর তীর ঝুকিপূর্ন অবস্থায় আছে। এর মধ্যে চারআলী বাজারের নাকুগাঁও স্থলবন্দর এলাকার দক্ষিন পূর্ব হাতিপাগাড় সিরাজ হাজীর বাড়ীর সামনে নদীর ডান তীর ১শ ফুট ভেঙ্গে গেছে এবং ঝুকিপূর্ন অবস্থায় আছে ৪শ ফুট, নয়াবিল পূবপাড়া জলিলের বাড়ীর সামনে ভোগাই নীদর ডান তীর ২শ ফুট ভেঙ্গে পানি গড়িয়ে যায়, নয়াবিল বাইনাপাড়া বুট্টুর বাড়ীর নিকট ভোগাই নীদর ডান তীর ২শ ফুট ভাঙ্গন, ছদু মিয়ার বাড়ীর সামনে ১শ ফুট বাধের পাড় ধ্বসে গেছে এবং ২শ ফুট ঝুকিপূর্ন অবস্থায় আছে একই সাথে নয়াবিল বাইনাপাড়া ইদ্রিশের বাড়ীর উত্তরে মজিবরের বাড়ীর সামনে ঝুকিপূর্ন রয়েছে ২শ ফুট। নয়াবিলের আন্ধারোপাড়া গ্রামের মৃত রজব আলীর বাড়ীর সামনে হতে আবেদ আলীর বাড়ীর ভোগাই নদীর ডান তীর ২শ ফুট জায়গা ঝুকিপূর্ন পূর্ব অবস্থায় আছে। এদিকে নয়াবিলের রুপাকুড়া মোজাম্মেলের বাড়ীর দক্ষিনে আনোয়ারের বাড়ীর নিকট পোড়াগাঁওয়ের পলাশীকুড়া বোনারপাড়া শেকেরকুড়া গ্রামের ধান ক্ষেতের মাঠের পানির কারনে ৪০ ফুট রাস্তা এবং উজান থেকে নেমে আসা পানির প্রবল ¯্রােতে চাটকিয়া রুপাকুড়া রাস্তার আকবরের আলীর বাড়ীর উত্তরে কালভার্ট ভেঙ্গে গেছে ও দুদুয়ার খালের পানির চাপে মানিক মিয়া বাড়ীর পিছনে নির্মিত জেরা পরিষদের পাকা রাস্তাটি মধ্য আন্ধারোপাড়া রাস্তা ৫০ ফুট রাস্তা ভেঙ্গে গেছে একই সাথে সুলতানের বাড়ীর রাস্তার পুকুরের পাড় ভেঙ্গে চলমান রাস্তাটি ধ্বংসের মুখে পড়েছে।
এব্যাপারে নয়াবিল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইউনুছ আলী দেওয়ান বলেন, আমাদের নয়াবিল এলাকায় ভোগাই নদীর ভাঙ্গনের খবর আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। অতিশীগ্রই ব্যবস্থা গ্রহন না করা হলে এই সমস্যা আরো ব্যাপক হারে বেড়ে যাবে। যা আমাদের নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে যাবে।
এলাকাবাসী মুক্তিযোদ্ধা ময়ছর আলীর স্ত্রী সাজেদা বেগম (৫৫), সমেলা (৪০), আানরুল্লাহ (৫০), হেলাল (৫০) বলেন, আমাদের এখন প্রধান সমস্যা নদী ভাঙ্গন ও জলাবদ্ধতা। আমরা এর দ্রুত সমস্যার সমাধান চাই। তা না হলে আমরা আমাদের বসতবাড়ী, কৃষি জমিজমাসব সব নষ্ট হয়ে নদীর নালার মুখে পড়ে মারাত্বক ক্ষতির মুখে পড়তে যাচ্ছি। তাই এগুলি সমাধানে ভাটিতে যে পানি নিসকাশনে যে পূর্বের কালভার্ট রযেছে সেগুলি আবার পুনরায় খুলে দিলে এই জলাবদ্ধতা আর থাকবে না। তারা এই জলাবদ্ধতার পানি সরতে দিচ্ছে না। কারন জমি তাদের কিন্তু পূর্বের ডেনেজ নালা এই জায়গায় ছিল। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কিছু লোক এই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করেছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ আঃ হান্নান বলেন, সরকারী ভাবে নালিতাবাড়ীর ভোগাই ও চেল্লাখালী নদীর ৩ কিঃ মিঃ বাঙ্গন প্রতিবেদন আকারে প্রেরন করা হয়েছে। এর মধ্যে রামচন্দ্রকুড়া, নয়াবিল, মরিচপুরান অংশের ভাঙ্গনের তালিকা অন্তরভুক্ত করা হযেছে।
নালিতাবাড়ী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোকছেদুর রহমান লেবু বলেন, ভাঙ্গন অংশ পরিদর্শন করেছি। যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য বিষয় গুলি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রেরন করা হয়েছে। এদিকে জলাব্ধতা যেন সমস্যার কারন না হয় সে জন্য অতি দ্রুত সমস্যাস্থল ও চিহ্নিত করে সমাধানের চেষ্টা করা হবে।
.................................................................................................................