প্রানঘাতী করোনা ভাইরাসের হাত থেকে কচুয়া বাসীকে রক্ষা করার জন্য ও উপজেলার বিভিন্ন বাজারের দোকান্দার ও জনসাধারন মাক্স না পড়ার অপরাধে কচুয়ায় কঠোর লকডাউনের ৪র্থ দিনে কচুয়া উপজেলার কচুয়া বাজার, সাইনবোর্ড বাজার, বাধাল ও গোপালপুর বাজারে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে ৩টি মামলা করে ৫শত টাকা জরিমানা আদায় করেন কচুয়া উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেড ও নবাগত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জীনাত মহল।
কঠোর লকডাউনের ৫ম দিনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জীনাত মহল এর সাথে কচুয়া থানা কর্মকর্তা ইনচার্জ মো: মনিরুল ইসলাম ও উপজেলার বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে ও বাজারে বাজারে তারা পুলিশ বাহিনীর দ্বারা টহল জোরদার করেছেন ও অতি জরুরী প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাহিরে কাউকে না বের হওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জীনাত মহল কচুয়া বাজার সহ বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে ও দোকানের সামনে মাক্স বিতরন করেন।, এ সময় সেনাবাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
লকডাউনের ফলে দুরপাল্লার পরিবহন সহ সব গনপরিহন বন্ধ রয়েছে। এক উপজেলা থেকে অন্য উপজেলায়, এক ইউনিয়ন থেকে অন্য ইউনিয়নে লোকজনের যাতায়াত সীমিত করা হয়েছে। কচুয়া থানা কর্মকর্তা ইনচার্জ মো: মনিরুল ইসলাম সহ সকল আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা কচুয়া উপজেলার গুরুত্বপূর্ন স্থানে টহল দিচ্ছেন। প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বেড় হলেই আইনশৃংখলা বাহিনীর জেরার মুখে পড়তে হচ্ছে সাধারন জনসাধারনের। জরুরী সেবা প্রদান কারী পরিবহনগুলো ছাড়া লকডাউনের ৫ম দিনে উপজেলার সব ধরনের যাত্রীবাহী গনপরিবহন ও দোকানপাট বন্ধ ছিল। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রবা ক্রয় বিক্রয়ের জন্য সকালের দিকে কিছু মুদি দোকান সীমিত আকারে কাঁচা মালের দোকান খোলা দেখা গেলেও তা বিকাল ৫টার মধ্যে তা বন্ধ করতে হচ্ছে। তবে বাজার গুলোতে জনসাধারনের উপস্থিতি ও ছিল খুবই কম।
এ ছাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জীনাত মহল প্রানঘাতী করোনা ভাইরাসের কারণে লকডাউনের ৫মদিনে কচুয়া উপজেলার কচুয়া সদর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডে ও বিভিন্ন ইউনিয়নের ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে গিয়ে কর্মহীন, হতদরিদ্র, রিক্সা চালক, ভ্যান চালক ও ছিন্নমুল মানুষদের খাদ্য সহায়তা প্রদান করেন। এ সময় তাঁর সাথে ছিলেন কচুয়া থানা কর্মকর্তা ইনচার্জ মো: মনিরুল ইসলাম ,জেলা পরিষদ সদস্য সেখ মনিরুজ্জামান ঝুমুর, উপজেলা প্রকল্প বাস্তায়ন কর্মকর্তা অঞ্জন কুমার কুন্ডু, যুগ্ম আহ্বায়ক যুবলীগ সুজন দিদার,আওয়ামীলীগ নেতা গোলাম শোকরানা আজাদ হোসেন বালী, পুলিন বিহারী সাহা,যুবলীগ নেতা সঞ্জীব সাহা, মৎস্যলীগ আহবাহক রিপন শিকদার সহ এলাকার রাজনৈতিক ও গন্যমান্যব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য করোনা সহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে সরকারের ত্রান ও দুর্যোগ মন্ত্রনালয়ের হতে বিভিন্ন সময়ে প্রাপ্ত ১৯ লক্ষ টাকা ও ২ টন চাউল বিতরনের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে প্রাপ্ত লিস্টের মাধ্যমে এই খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।