কুড়িগ্রামের রাজারহাটে করোনা ভাইরাস বিস্তার প্রতিরোধে কঠোর বিধিনিষেধ বাস্তবায়নের জন্য উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার সময় বাধা প্রদান করায় বাজার কমিটির সভাপতিসহ ২০জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে, বুধবার(৭জুলাই) বিকেল সাড়ে ৫টায় উপজেলার উমর মজিদ ইউনিয়নের ফরকেরহাটে। ঘটনার পর থেকে পুলিশ অভিযুক্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
মামলার বিবরণে জানা যায়, বুধবার(৭জুলাই) বিকেল সাড়ে ৫টায় উপজেলার উমর মজিদ ইউনিয়নের ফরকেরহাটে করোনার বিস্তার প্রতিরোধে কঠোর বিধিনিষেধ বাস্তবায়নের জন্য সহকারী কমিশনার(ভূমি) আকলিমা বেগম রাষ্টীয় দায়িত্ব পালন করতে যায়। সেখানকার এক চা বিক্রেতা ফরকেরহাট কেরামতিয়া উচ্চবিদ্যালয়ের গেটের পাশেই খোলা জায়গায় সরকারী বিধি অমান্য করে দোকান বসালে জন সমাগম চলে। সেটি নিয়ন্ত্রণে ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আকলিমা বেগমের দোকান উচ্ছেদের নির্দেশে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে বাজার কমিটির সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু বাধা প্রদান করে। এরপর ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আকলিমা বেগমের সাথে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে পুলিশ সদস্যদের সাথে মঞ্জু মিয়া ও তার লোকজনের ধস্তাধতি হলে এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরে রাজারহাট থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ রাজু সরকারের নেতৃত্বে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। সরকারী কাজে বাধা দেওয়ার অপরাধে সহকারী কমিশনার(ভূমি) এর নির্দেশে এ এসআই আব্দুল্লাহ্র বাদী হয়ে মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জুকে প্রধান আসামীসহ অজ্ঞাতনামা ২০জনকে আসামি করে রাতেই রাজারহাট থানায় মামলা দায়ের করে।
এব্যাপারে রাজারহাট উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আকলিমা বেগস জানান, সরকারী কাজে বাঁধা প্রদান করায় মামলা হয়েছে। এটি এখন আদালতের বিষয়।
এবিষয়ে বাজার কমিটির সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু জানান, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ গুলো আনা হয়েছে সেগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা। উল্টো আমাকেই আঘাত করে আহত করা হয়েছে। আমি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছি। ঘটনাটি মোবাইল ফোনে ধারণ করায় তার ফোনটি কেড়ে নেয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
এব্যাপারে রাজারহাট থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ মোঃ রাজু সরকার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আসামীদের দ্রুত গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।