নওগাঁর সাপাহারে তুচ্ছ ঘটনা কে কেন্দ্র করে তহুরুল (২৬) নামে এক যুবক পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের মামা বাদী হয়ে স্থানীয় থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত ২নং আসামি কামাশপুর গ্রামের আমাদুল ইসলামের ছেলে হায়াত আলী (১৯) কে আটক করেছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ২জুলাই শুক্রবারে উপজেলার কামাশপুর গ্রামের রব্বুল হোসেনের ছেলে কামাল হোসেনের একটি গরু পাশ্ববর্তী আমাদুল ইসলামের বসত বাড়ীতে যায়। এ সময় আমাদুল ও তার ছেলে হায়াত আলী গরুটিকে নির্দয় ভাবে মারতে থাকে। সে সময় গরুর মালিক কামাল হোসেন ঘটনাস্থলে গেলে আসামীদ্বয় তাকেও মারপিট শুরু করে। এ সময় কামাল হোসেনের সহদর ছোট ভাই তহুরুল তাদেরকে আটকাতে গেলে আসামিরা তহুরুলের মাথায় বাঁশের লাঠি দিয়ে সজোরে আঘাত করলে তহুরুল ঘটনাস্থলে লুটিয়ে পড়ে। এ সময় তার মাথার খুলি ডেবে গিয়ে জখমপ্রাপ্ত হয়। স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে কামাল হোসেন ও তহুরুলকে সাপাহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে তহুরুলের অবস্থা আশংকাজনক হলে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হামপাতালে রেফার্ড করা হয়। ৮ই জুলাই বৃহষ্পতিবার রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আহত তহুরুলের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহতের মামা বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করলে মামলার এজাহার ভুক্ত ২নং আসামি হায়াত আলীকে তার শ্বশুরবাড়ী হরিপুর থেকে পুলিশ গ্রেফতার করে। পরে আটককৃতকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।এবিষয়ে সাপাহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) আল মাহমুদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। ১নং আসামি পলাতক থাকায় তাকে গ্রেফতার করা যায়নি তবে গ্রেফতারের প্রক্রিয়া অব্যহত রয়েছে বলেও তিনি জানান।